অডিওকাণ্ডই কাল হলো হুইপপুত্র শারুনের, প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাদ!

জুয়া ও চলমান অভিযানে বিরুদ্ধে পিতার অবস্থান, মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মারার হুমকির অডিও ও একে-৪৭ রাইফেল কাণ্ডই কাল হলো তার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়া দিল্লীর সফরসঙ্গী থেকে বাদ পড়েছেন নানা সমালোচনার মুখে থাকা সরকার দলীয় হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ভারত ও বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের জুয়ার পক্ষে পিতা সামশুল হক চৌধুরীর অবস্থান এবং শারুনের নিজের বিতর্কিত অডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় তুলেছে। এই তথ্য সরকারি নীতি-নির্ধারকদের কাছে পৌঁছালে হুইপপুত্র শারুনকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম চেম্বার সূত্রে জানা যায়, চেম্বার শারুনসহ সব পরিচালকের নাম এফবিসিসিআইয়ের কাছে পাঠিয়েছিল। পরবর্তীতে এফবিসিসিআই চট্টগ্রাম চেম্বারের কাছে যে চূড়ান্ত তালিকা দেয় সেখানে হুইপপুত্র শারুনের নাম নেই।

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সরকারের ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী। এরই মধ্যে পুত্র নাজমুল করিম চৌধুরীর একটি অডিও গণমাধ্যমে আসে। অডিওটিতে শারুন নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরীকে চড় মেরে দাঁত ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। এই অডিওটি চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে শুটিংয়ের একটি ভিডিও চিত্রও নিয়ে সমালোচনা মুখে পড়েন নাজমুল করিম চৌধুরী। একইসঙ্গে হুইপের বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতে জড়িত থাকা এবং হকার থেকে কোটিপতি বনে যাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে।

এদিকে, বুধবার (২ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শারুন বলছেন, ‘দয়া করে ভিত্তিহীন সংবাদ ও গুজবে কান দিবেন না। আল্লাহ সবাইকে সঠিক তথ্য জানার ও বুঝার ক্ষমতা দান করুন।’

জানতে চাইলে নাজমুল হক শারুন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এটি বোগাস খবর। আমাকে কে বাদ দিয়েছে নাম বলতে বলুন। চট্টগ্রাম চেম্বার অনেকের নাম দিতে পারে। ফাইনাল সিদ্ধান্ত দেয় এফবিসিসিআই। এফবিসিসিআইয়ের চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম ছিল না। তাছাড়া আমার বাবাকে এই অবস্থায় রেখে আমার দেশের বাইরে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

এমএ/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!