আগামীতে বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্লু-ইকোনোমি তথা সাগরের তলদেশে লুকায়তি সম্পদ আহরণে বিনিয়োগ করবে ফ্রান্স সরকার- এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিযুক্ত জিয়ান মেরিন সূহ্।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে টাইগারপাসে নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যর কথা উল্লেখ করে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘সাগর, নদী ও পাহাড়, পর্বতবেষ্ঠিত এই শহর যে কোনো অতিথিকে মুগ্ধ করে। আমি ও আমার স্ত্রী এই শহরের এসে অবিভূত হলাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই শহরটি এখন সবুজ এবং পরিচ্ছন্ন নগরী।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে জিয়ান মেরিন সূহ বলেন, ‘ঢাকাস্থ সায়দাবাদে পানি শোধানাগার প্রকল্পটি ফ্রান্সের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। আগামীতে এই ধরনের প্রকল্প বিভিন্ন জেলায় বাস্তবায়নের ফ্রান্স ব্যবসায়ী মহলের সদিচ্ছা আছে। ফ্রান্স বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। আগামীতে এ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে ফ্রান্স।’
সাক্ষাৎকালে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিীন করপোরেশনের নানামুখী সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
সাক্ষাৎকালেমেয়র চট্টগ্রামে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড, জাহাজ তৈরি, বৃহৎ শিল্প কারখানা এবং পোশাক শিল্প কারখানা, স্টিল মিলসের স্থাপনা এবং বিশেষ শিল্পাঞ্চল স্থাপন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
মেয়র আশাবাদ বলেন, ‘ফ্রান্সের মত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম সকল রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
এই প্রসঙ্গে আ জ ম নাছির বলেন, ‘বাংলাদেশের অবকাঠামো, শিল্পাঞ্চল, জ্বালানি ও সামুদ্রিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ফরাসি বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে কোরিয়া, চীনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা এই শিল্পাঞ্চল জোনে বিনিয়োগ করছে। এমনকি বঙ্গবন্ধু স্যটেলাইট নির্মাণ ও তা উৎক্ষেপণে ফ্রান্স ব্যবসায়ী মহলের বড় বিনিয়োগ।’
এর জন্য মেয়র ফ্রান্স সরকার এবং সে দেশের ব্যবসায়ী মহলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসএস