বিজয়ী হলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো

চট্টগ্রামে ফিরে তাৎক্ষণিক সংবর্ধনায় রেজাউল করিম

নির্বাচনে বিজয়ী হলে হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনে চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া এই প্রার্থী বলেন, ‘অর্থবিত্তের প্রতি আমার কোন মোহ নাই। এমএ আজিজ, জহুর আহমেদ চৌধুরী, মহিউদ্দিন চৌধুরীরা যেই পথে গিয়েছেন আমিও সেই পথে যাবো।এই চট্টগ্রাম একসময় সৌন্দর্যের রানী ছিল। আজ পাহাড় কেটে চট্টলা ধ্বংসের মুখে। অতি দূষণে কর্ণফুলী মরে যাচ্ছে। সকলকে নিয়ে পরামর্শ করে এই চট্টগ্রামের হৃত গৌরব ফিরিয়ে দিতে চাই।’

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন রেজাউল করিম চৌধুরী। মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রথম চট্টগ্রাম আসা রেজাউল করিমকে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ টায় এই সংবর্ধনা দেয় মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিজয়ী হলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো 1

এর আগে ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌছালে রেজাউল করিমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাক দিয়ে তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে নিয়ে যান নেতাকর্মীরা। মঞ্চে উঠে সামনে থাকা নেতাকর্মীদের ফুল ছিটিয়ে শুভেচ্ছা জানান রেজাউলও।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা সভায় উত্তর ও দক্ষিণ জেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ মহানগর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও মহনগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনকে দেখা যায়নি সেখানে।

নিজেকে শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ‘মেয়র পদে আমরা ২০ জন মনোনয়ন চেয়েছি। সবাই যোগ্য। নেত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমাকে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন। আমি শেখ হাসিনার প্রতিনিধি মাত্র, আর কিছুই নই। আমি এই বিশাল সমাবেশে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি যাদের হাত ধরে আমি রাজনীতি শিখেছি সেই এমএ আজিজ, জহুর আহমেদ চৌধুরী, এমএ হান্নান ,এম মান্নান, আতাউর রহমান খান কায়সার আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাই এবং সদ্য প্রয়াত জননেতা চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে। আমার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা রেখেছেন এই নেতাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই আস্থা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমি রক্ষা করবো।’

তিনি বলেন, ‘এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৭ বছর এই চট্টগ্রামবাসীর সেবা করেছেন এবং সমস্ত বাংলাদেশে একটা মডেল সিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারপর ৫ বছর আমাদের হাতে ছিল না সিটি কর্পোরেশন। আবার ২০১৫ সালে এই কর্পোরেশন আমাদের হাতে এসেছে। বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির ও প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী যে উন্নয়ন করেছেন আমিও ইনশাল্লাহ আপনাদের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে আমিও সেই ধারা বহমান রাখবো।’

বিজয়ী হলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো 2

চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘কারোর একার পক্ষে একটা নগরী গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আমি চট্টগ্রামের বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, পেশাজীবি, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, পরিকল্পনাবিদ সাধারণ জনগণ সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত একটি নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবো।’

এর আগে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমকে স্বাগত জানাতে দুপুর ১২ টা থেকেই মিছিল নিয়ে স্টেশন চত্বরে আসতে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১ টার মধ্যেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে স্টেশন চত্বর।

মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!