বাঁশখালীতে নৌকা ডুবে ৪ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কাথারিয়া ও গন্ডামারা ইউনিয়নের জ্বলকদর খালে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৃথক দুই নৌকা ডুবির ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওরশ উপলক্ষে কুতুবদিয়া মালেক শাহ (র.) হুজুরের দরবার শরীফে নৌকাযোগে বাঁশখালী থেকে যাবার সময় এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। ৪০/৫০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ফিশিংবোটে ১২০/১২৫ জন যাত্রী নেওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টায় কাথারিয়া ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রাম থেকে ১২০ জনের অধিক ওরশ যাত্রী একটি ফিশিংবোট নিয়ে যাত্রা করে। জ্বলকদর খালের কাথারিয়া চুনতি বাজারের দক্ষিণে পৌঁছলে অতিরিক্ত ফিশিং বোটটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে ফিশিং বোট চাপা পড়ে প্রবাসী মো. আক্কাস (২৮) ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় হালিয়া পাড়া কে জি স্কুলের তুতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. মিনহাজ (১০) নিখোঁজ হলে কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় আহত হয়ে মো. বাবুল (৪০) ও আলী আকবর (১০) নামের দুজন বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অন্যান্য যাত্রীরা সাঁতার কেটে জ্বলকদর খালের পাড়ে ওঠেন।

অপর ঘটনাটি ঘটেছে, জ্বলকদর গন্ডামারা এলাকায় সমুদ্র মোহনায়। খানাখানাবাদের কদমরসুল এলাকার ১২৫ জন যাত্রী নিয়ে জনৈক হারুনের ফিশিং বোটে করে জ্বলকদর খাল হয়ে কুতুবদিয়া দরবার শরীফে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় গন্ডামারা সমুদ্র মোহনায় পৌঁছলে ফিশিং বোটটি উল্টে যায়। এতে খানখানাবাদের রায়ছড়া গ্রামের আব্দুল মালেক (৫০) এবং কদম রসূল গ্রামের আব্দুল জলিল (৩২) মারা যান। ওই ঘটনায় ১৩ জন যাত্রী আহত হয়। অন্যরা সাঁতার কেটে কূলে আসতে সক্ষম হয়।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘নৌকা ডুবির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতের উদ্ধার করেছে। পুলিশ সার্বক্ষণিক দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছে। নিখোঁজ কেউ আছে কিনা তদারকি করছে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!