রাঙ্গামাটির ইউপি চেয়ারম্যান পেটালো ছাত্রলীগ কর্মীকে

রাঙ্গামাটির ইউপি চেয়ারম্যান পেটালো ছাত্রলীগ কর্মীকে 1চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙ্গামাটি : ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরীর রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান ছাত্রলীগের কর্মীকে আবারো হামলা করার অভিযোগ ।গত শুক্রবার সকাল ৯ টায় আমতলীতে মোস্তফা নামে ছাত্রলীগের নেতাকে হামলার ঘটনা ঘটে । বর্তমানে গুরুত্বও আহত অবস্থায় উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্্র ছাত্রলীগের নেতা চিকিৎসাধীন আছে ।

 

এলাকাবাসী ও আহত ছাত্রলীগ কর্মী প্রতিবেদকে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়, অত্যাচার, দুর্নীতি ও অনিয়মসহ নানা বেপরোয়া কর্মকান্ডে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এই ঘটনার পরে বাঘাইছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করায় আমাকে অর্তকিত হামলা করে। ১৭ আগষ্ট আমতলী ইউপি চেয়ারম্যানকে গণধোলাই সংবাদ দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন প্রকাশিত হওয়ায় আওয়ামীলীগের সিনিয়ার নেতাদের কাছে প্রশংসিত হয়। সংবাদের প্রিন্ট কপি বাঘাইছড়ি বাজারে প্রচুর বিক্রি হয়েছে ।

 

এদিকে ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তফাকে হামলার ঘটনার বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীর হোসেন প্রতিবেদকে মুঠো ফোনে জানান, আমি শুনেছি মোস্তফাকে হুমকি দেওয়ার কারণে রাসেলের বিরুদ্ধে পুর্বে জিডি করার কারণে হামলা হয়েছে । তবে এখনো হামলার বিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি।
আহত ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তফার সাথে মুঠোফোনে প্রতিবেদক যোগাযোগ করা হলে জানায়,রাসেলের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য বেলাল বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হামলা করে । এসময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রাসেল চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন জেলা আ:লীগের সদস্য শমসের আলী উপস্থিত ছিলেন। মোস্তফা আরো জানায়,কলা ও কাঠের বোট থেকে ছাত্রলীগের পরিচয়ে চাদাঁবাজি করার সময়ে আমি আর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম প্রতিবাদ করেছি বলে আমাদের আগে কয়েকদফা হামলা করতে গিয়ে ব্যর্থ । তাই রাসেল বাহিনী হুমকি দিলে ভয়ে নিরাপক্তার জন্য চাদাঁবাজদের বিরুদ্ধে আমি ও আব্দুল হালিম বাঘাইছড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছিলাম ।
আমতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা উভয়ে বলেন আহত মোস্তফা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে গুরুত্বপুর্ণ চ্যাঞ্চলকর তথ্য দিচ্ছে এলাকাবাসী । ক্ষমতা অপব্যবহার দুর্নীতি অন্যায় অত্যাচার চরম পর্যায়ে । ভুয়া বাজার চৌধুরী হয়ে ৫শ টাকা করে ৮০ জন ব্যবসায়ী থেকে চাদা আদায় করার অভিযোগ। একটি পরিবারকে পাচটি ঘর দেখিয়ে ট্যাক্্র আদায় । স্থানীয় রশিদ ও ছাক্তারকে দন্ধ তথা বিরোধ মীমাংসার রায় দিয়েছে দু জনকে দুইধরনের উভয়পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় । আজিজ মিস্ত্রি ও কালাম মাঝি বিরোধ লাগিয়ে একজনকে দিয়ে ঘর নিমার্ণ অন্যজনকে ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম কান্নায় কন্ঠে বলেন,ঘরবাড়ী ভেঙ্গে দিয়েছে রাসেল বাহিনী।রাঙ্গামাটি রিপোটার্স ইঊনিটির কার্য্যলয়ে প্রশ্ন করলে কেন ঘর ভেঙ্গেছে চেয়ারম্যানের বাড়ী যাওয়ার রাস্তা বড় করতে ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে বলে জানান। রাসেল চৌধুরী বাহিনীর সদস্যরা হল,সালমা মেকার সেলিমের বউ, মাফি চান মিঞার মেয়ে, ফোরকান পিতা-আলাউদ্দীন কালেক্টর বেলাল পিতা-শামসু উদ্দীন ঘাড় বাকা রব পিতা-আমজাদ রুবেল পিতা-রব সমশের মেম্বার ,মনির,মঈন উদ্দীন ও ফিরোজের ছেলে । স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল মিয়ার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৫০) জানান, কথা না মানায় তার ছেলে আবদুল করিমের (২৫) বিরুদ্ধে মিথ্যা বন মামলা দিয়েছেন রাসেল চেয়ারম্যান। গ্রামের কারবারি ইউসুফ আলী (৬২) বলেন, রাসেল চেয়ারম্যানের হুমকিতে এলাকায় আতঙ্কে বাস করতে হচ্ছে তাকে। মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম (৭৫) বলেন, ক্ষমতার জোরে তার জমি বেদখল করেছেন রাসেল চেয়ারম্যান।
এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে কয়েক দিন আগে ফোনে যোগাযোগ করা হলে আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা ও কাল্পনিক। এসবই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাদের দুর্নীতির বিষয়ে সতর্ক করে দেয়ায় কতিপয় ওয়ার্ড সদস্যসহ এলাকার কুচক্রীরা আমার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে মানহানির মামলা দেয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মনোনীত চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়ে রাসেল চৌধুরী বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে ।এই ব্যাপারে জেলাপরিষদেও চেয়ারম্যান বলেন-এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না,সবকিছুতেই আমাকে কেন জড়ায় বুঝি না।

জানাগেছে,চান মিঞা সওদাগর বাড়ীর সামনে সেতুর সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী রাসেলের বাড়ীতে নিয়ে গেছে,কেউ প্রতিবাদ সন্ত্রাসী করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় কার্বারী। গুচ্ছ গ্রামের নকল কার্ড প্রস্তুত করে এই রাসেল । শুন্য হাতে বাঘাইছড়ি এক বছর আগে আমতলীতে এসে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের স্থানীয় সভাপতির পদ দকল করে স্কুলের টিলায় সরকারী খাসজায়গায় রাজকীয় বাড়ী নিমার্ণ। আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল পাবলাখালী রেঞ্জ কর্মকর্তাকে স্থানীয় আবদুল করিমকে দিয়ে মিথ্যা বন মামলা দিয়েছে।
এলাকার প্রবীণ স্থায়ী বাসিন্দা আবুল হাসেম মুক্তিযোদ্ধা যার মুক্তি সনদ নং ১৩৫৭
মো.মাঈন উদ্দীন,ইউছুফ আলী কার্বারী ও আকলিমা বেগম প্রতিবেদককে জানান, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাহেব আলীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। সাহেব আলীর সৎ ইউপি চেয়ারম্যান বাঘাইছড়ি উপজেলায় দেখি নাই । রাঙ্গামাটি আইন কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে সার্টিফিকেট সন্দেহ হওয়ায় ভর্তি আবেদন বাতিল হয়েছে বলে জানাগেছে। তার মুল পেশা একজনের বিরুদ্ধে অন্যজনের মিথ্যা মামলা হয়রানী করা, এমন কোন অপরাধ বাকী রাখে নাই,এই রাসেল চৌধুরী বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। রাসেল চৌধুরী বিয়ে করেছে পাচটি স্বীকৃতি দিলেও আরো বহু নারীর সর্বনাশ করেছে,তার পিতা সুলতান আহম্মদ ৪টি বিয়ে করেছে স্থানীয়দের অভিযোগ।

ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তফাকে হামলা ঘটনা সম্পর্কে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরীর সরাসরি রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায় আমি হামলা করেনি । মোস্তফা ছাত্রলীগের কর্মী নয় সে শিবির করে। আমি হামলা করি নাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মারধর করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়,সব এশটি মহলের সড়যন্ত্র ।
এলাকার জনগণ জানান, বরিশালের সুলতান মাস্টারের ছেলে কিভাবে মো.রাসেল চৌধুরী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনিয়ম, দুর্নীতি, মিথ্যা মামলা,হুমকি হয়রানী ও চাঁদাবাজিসহ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। তিনি চেয়ারম্যান হয়েছেন পেশীশক্তি ও দলীয় প্রভাবে। তিনি একাধারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং আমতলীবাজার চৌধুরী। বাজারের আগের চৌধুরী মো. মোবারক হোসেন চৌধুরীর কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেন তিনি। এতে রাসেল আহমেদ থেকে হয়েছেন রাসেল চৌধুরী। আর সেই রাসেল চৌধুরী এখন আমতলীবাসীর মুর্তিমান আতঙ্ক। সেই জনপদে আতংকের অপর নাম রাসেল চৌধুরী ।
স্থানীয়রা জানান, রাসেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দলীয় প্রভাবসহ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ দিয়েছেন ইউপি সদস্য এবং এলাকার জনগণ। ক্ষতার জোরে নিরীহ মানুষের জমি বেদখল ও নারী নির্যাতনসহ অভিযোগ ভুরি ভুরি। কিন্তু তিনি ধরা ছোঁয়ার বাইরে। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বরাবরে দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এরই মধ্যে দলীয়ভাবে তদন্ত করা হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি বলে জানান, তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিন। জেলা প্রশাসক বরাবরে ওয়ার্ড সদস্যদের দেয়া অভিযোগ তদন্তাধীন বলে জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম।
এ ছাড়া কয়েক দিন আগে বাঘাইছড়ি থানায় রাসেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিজে বাদী হয়ে নারী নির্যাতন মামলা করেন বলে জানান, আমতলী ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এই ইয়াসমিন বেগম। ইতি ইউপি চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ইয়াসমিন বেগম (২৯) মৃত ইসমত সরদারের মেয়ে তিন সন্তানের জননী স্থানীয় ঐ নারীকে পাচলাখ দেনমোহর দেখিয়ে বিয়ে করেছে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
ওয়ার্ড সদস্য আবদুল মালেক, বাবর আলী, শহিদুল্ল্যাহ, সুবহান, মো. নূরতহিদ, রাবেয়া বেগম, ছালেহা বেগম ও নূর আয়েশা বলেন, চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে রাসেল চৌধুরীর অত্যাচারে এলাকার জনগণ শান্তিতে নেই। আমরাও অসহায়। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ড দেয়ার নামে ৪০-৪৫ দুঃস্থ মানুষের কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকা বাধ্যতামূলকভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন রাসেল চেয়ারম্যান। ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে গ্রামীণ দুঃস্থ লোকজনকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেয় সরকার। কিন্তু এতে রাসেল চেয়ারম্যান প্রতি কার্ডে ১০০০ টাকা নিলেও কার্ড দিন প্রতি ওয়ার্ডে কেবল ১৫-২০ জনকে। বাকিদের কার্ডও নেই, টাকাও ফেরত নেই। শালিস বিচারের নামে উভয় পক্ষের কাছ মোটা অংকের টাকা নেন। এলাকার কোথাও বিয়ে হলে নিজস্ব বাহিনী নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বাল্য বিবাহের অভিযোগ তুলে হুমকির মুখে টাকা আদায় করেন। এ ছাড়া জমি ক্রয়-বিক্রয়ে এবং জেলেদের কাছ থেকে এককালীন ও মাসোহারা আদায় করেন। গরু, ছাগল থেকে শুরু করে ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর সব কিছুতে চাঁদা আদায় করেন তিনি। ৪০ দিনের কার্য কর্মসূচি, গুচ্ছগ্রাম, আরএমপি, এলজিএসপি, এডিপি, কাবিখা, কাবিটা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, খেয়াঘাট, বোটঘাটসহ এমন কোনো কর্মসূচি বা প্রকল্প নেই- তিনি দুর্নীতি করেন না। প্রতি পদে পদে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করেন তিনি।
ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাহিল্যা এলাকার বাসিন্দা মৃত মোবারক আলীর ছেলে জিয়াউল হক বলেন, কিছু দিন আগে ছেলে ঘরের নাতির বিয়ে দেন তিনি। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব মাস্তানবাহিনী নিয়ে বিয়ে বাড়ি গিয়ে হানা দেন রাসেল চেয়ারম্যান। তাৎক্ষণিক কিছু জানার আগেই কেন বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ তোলে আমাকে, নাতি ও নতুন বৌকে ধরে নিয়ে বেদম মারধর করেন রাসেল চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী। এক পর্যায়ে নাতি ও তার বৌকে আটকে রেখে আমাকে ছেড়ে দিয়ে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ওই দুই জনকে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়। অনেক কষ্ট করে ২৫ হাজার টাকা জোগাড় করে চেয়ারম্যানের হাতে দিয়েছি। কিন্তু তাতেও মানেন না। আমার গরু জোর করে বিক্রি করিয়ে দিয়ে গরু বেপারির কাছ থেকে আরও ২৫ হাজার টাকা গুনে নিয়েছেন চেয়ারম্যান। এরপর নাতি ও নাতির বৌকে ছেড়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য তার আগে ১৭ আগষ্ট বৃস্পতিবার গণধোলাই দিয়ে হাসাপাতালে পাঠিয়েছে ইউনিয়নবাসী ও ছাত্রলীগের কর্মীরা। তার অত্যাচারের শিকার শুধু এলাকার সাধারণ জনগণ নয়- ইউপি সদস্যসহ দলের তৃণমূলের সাধারণ নেতাকর্মীরাও। দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের এক পর্যায়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে ওই নেতাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে বাঘাইছড়ির ছাত্রলীগের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের জেলা পরিষদের রেস্ট হাউজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়, অত্যাচার, দুর্নীতি ও অনিয়মসহ নানা বেপরোয়া কর্মকান্ডে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরীর ওপর এসময় ক্ষুব্দ ছিলেন ছাত্রলীগের স্থানীয় কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দাফতরিক কাজে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে যান রাসেল চৌধুরী। খবর পেয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতারি মারধর করে মাথা ফাটিয়ে আহত করে চলে যায় ক্ষুব্দ ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে উদ্ধার করে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান পুলিশ ও স্থানীয়রা। ঘটনার পরপরই ১২ জনকে আসামি করে নিজে বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় একটি মামলা করেন (নম্বর-১, তারিখ: ১৭/০৮/২০১৭) রাসেল চৌধুরী। এদের মধ্যে তপন দাশ (৩০) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!