ইংল্যান্ড দলের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী

খেলা প্রতিদিন ::

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সময় স্নাইপার আর ট্যাংক দিয়ে ঘেরা থাকবে মাঠ এবং হোটেল। হোটেলের আশপাশে বিভিন্ন ছাদে অবস্থান নেবেন স্নাইপার চালনায় পারদর্শী বিশেষ টিম। আর রাস্তাসহ আশপাশে প্রস্তুত থাকবে ট্যাংক।

3_33128

 

এই কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশ।  ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়রা এই ধরনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েই বাংলাদেশে আসতে রাজি হয়েছে বলে দাবি ডেইলিমেইলের।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খালি চোখে এতটুকু দেখা যাবে। কিন্তু কৌশলগত প্রক্রিয়ায় আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ। চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় যে হোটেলে খেলোয়াড়রা অবস্থান করবেন, তার আশপাশের রাস্তা ‘বিশেষ বলয়’ তৈরি করে ঘিরে রাখা হবে। এই মাসের শেষদিন বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড। নিরাপত্তা পরিদর্শকরা দেশটির খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে ২৬ আগস্ট নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে আসার ঘোষণা দেন।

 

প্রথম থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরই বাংলাদেশে আসার কথা ছিল দলটির। কিন্তু গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশ সফর নিয়ে চারদিক থেকে নানা মন্তব্য আসতে থাকে। বিসিবি অবশ্য বরাবরই বলে আসছিল, ইংল্যান্ড নির্ধারিত সময়েই আসবে। দলটির অধিকাংশ খেলোয়াড় বাংলাদেশে আসতে রাজি হলেও সফর থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মরগান এবং ওপেনার অ্যালেক্স হেলস।
ইসিবির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রেক ডিকেসন খেলোয়াড়দের জানিয়েছেন, সফরের জন্য বাংলাদেশ এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ নিরাপদ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশের নেতৃত্বে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
ডিকেসনের বরাত দিয়ে ডেইলি-মেইল জানিয়েছে, টিম হোটেলের বাইরে গুপ্ত স্নাইপাধারীর অবস্থান থাকবে। এই দলের সদস্যরা আলাদা আলাদাভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে নজর রাখবে। অনুশীলন আর ম্যাচের দিন ছাড়া খেলোয়াড়দের বাইরে যেতে দেয়া হবে না। কোচের সঙ্গে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন।

 

ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, এই ধরনের নিরাপত্তার ভেতর দিয়ে খেলোয়াড়দের ওপর হামলার কোনো শঙ্কা নেই। ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশ ছাড়বে ২ নভেম্বর। এখান থেকে সরাসরি তারা চলে যাবে ভারতে। ৯ নভেম্বর থেকে কোহলিদের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দলটি।
ইসিবির এক মুখপাত্র বলছেন, ‘আমাদের দল যেখানেই খেলুক না কেন নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়। বাংলাদেশ সফরে আমরা প্রথম দিকে ঝুঁকির কথা চিন্তা করছিলাম। কিন্তু তারা যে ধরনের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে আমরা চিন্তামুক্ত। আমরা নিজেরাও নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করবো। যাতে কোনো ফাঁকফোকর না থাকে।’

সূত্র : এ বি নি :

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!