চৌমুহনী বড়পুল বন্দরে বন্ধ হল দূষিত পানির কারখানা

৯ প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান, ৫টি বন্ধ

সরকারি অনুমোদন ছাড়া যত্রতত্র অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবৈধভাবে ড্রিংকিং ওয়াটার উৎপাদন ও সরবরাহকারী ৯ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের চৌমুহনী, বড়পুল ও বন্দর এলাকায় ৯টি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) সহযোগিতায় দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর চার সদস্যের দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠান হল— কে এফ এন্টারপ্রাইজ, এ জেড এন্টারপ্রাইজের ডি ড্রপ, অহি ইন্টারন্যাশনাল, স্মার্ট ড্রিংকিং ওয়াটার, অজিফা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ।

দুদক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অনুমতি না থাকার সত্ত্বেও ভুয়া সিল ব্যবহার করে বাজারজাতও করে আসছে এসব অবৈধ পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদন করছে এসব অনিরাপদ ড্রিংকিং ওয়াটার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের শহরে অলিগলিতে প্রায় অর্ধশতাধিক বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠা অবৈধ পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। খবর পেয়ে ৯টি অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এদের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দুদক অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ম্যানেজার পালিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নগরের প্রান্তিক পর্যায়ের শ্রমজীবী মানুষ প্রতিনিয়ত এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের পানি খেয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতি মুনাফাখোর ও লোভী ব্যবসায়ীরা এই ধরনের কাজে লিপ্ত রয়েছে। অভিযানের একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান কার্যালয় বরাবরে সুপারিশের জন্য পাঠানো হবে।’

এদিকে স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাক বলেন, ‘অভিযানে ৫টি অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে তাৎক্ষণিক ব্যবসায়ী কার্যক্রম ও উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুআ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!