৪১৩ টন পেঁয়াজ নামার অপেক্ষায় চট্টগ্রাম বন্দরে

৪১৩ টন পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এসব পেঁয়াজ এসেছে চীন, মিশর, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে। চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পেঁয়াজের ডিও চলে গেছে আড়তদারের কাছে। ফলে পেঁয়াজের দামও কমে গেছে।

চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বুলবুল ১৮ নভেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১৩ টন পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। পেঁয়াজগুলো চীন, মিশর, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এসেছে।

তিনি জানান, এর আগে চীন ও মিশর থেকে আনা ১১৪ টন পেঁয়াজ বন্দরে খালাস হয়েছে এবং মিয়ানমার থেকে আসা ৮৪টন পেঁয়াজ বন্দর নগরীর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে এসেছে।

শনিবার মিশর থেকে আনা ৫৮ টন এবং চীন থেকে আনা ৫৬ টন পেঁয়াজ খালাস হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শনিবার পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ১৪১ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ আনতে আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) নেওয়া হয়েছে ৭১ হাজার ৮০২ টনের। এরমধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত ৬৬ হাজার ১৬২ টনের আইপি নেওয়া হয়েছিল।

এরপর গত কয়েক দিনে আরও ৫ হাজার ৬৪০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র এদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় আধ পচা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে। এদিন খাতুনগঞ্জ ও চাক্তায়ের পাইকারি বাজারের বিভিন্ন এলাকায় পচা পেঁয়াজের কিছু বস্তা পড়ে থাকতেও দেখা গেছে।

এদিকে শনিবার দুপুরে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট, চাঁন মিয়া বাজার, মধ্যম চাক্তাইসহ কয়েকটি স্থানে আড়তের বাইরে কয়েক বস্তা করে পচা পেঁয়াজ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এসব এলাকা থেকে আড়তদারদের ফেলে দেওয়া প্রায় ১৫ টন পচা পেঁয়াজ তুলে নিয়ে আরেফিন নগরের ভাগাড়ে ফেলে দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। দাম বাড়ার পর আধ পচা পেঁয়াজ বাছাই করে শুকিয়ে বিক্রি করাও শুরু হয়েছিল। কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর পথে পথে রিকশা ভ্যানে এ রকম পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার ফখরুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, পেঁয়াজ খালাসের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছে। বন্দরে পেঁয়াজ এলেই দ্রুত খালাস দেওয়া হচ্ছে।

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!