চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বান্ডেল রোডে ১০ বছর আগে বাসায় ঢুকে ৭০ বছরের বৃদ্ধা নূরজাহান বেগম ও শিশু গৃহকর্মীকে খুনের ঘটনায় মো. সোলায়মান (৩২) নামের এক ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌসের আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সোলায়মানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলী অ্যাডভোকেট তসলিম উদ্দীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত সোলায়মানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। ওই মামলার অন্য ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নিহত নূরজাহান বেগম কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোডের মৃত হাছি মিয়ার স্ত্রী। ওই এলাকায় তিনি নিজস্ব তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় তার ছেলে ফারুক হোসেন ও শিশু গৃহকর্মী পপিকে নিয়ে বসবাস করতেন। অন্যদিনের মতো ঘটনার দিন ২০০৯ সালের ১৮ আগস্ট সকালে ফারুক হোসেন বাসা থেকে ফয়’স লেক এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। রাতে বাসায় ফিরে মা নূর জাহান বেগম ও গৃহকর্মী পপির মৃতদেহ পান। বাসা থেকে ৩ ভরি ৮ আনা স্বর্ণ ডাকাতি হয়েছিল। এ ঘটনায় নিহত ফারুক হোসেন অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঠিক এক বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট অভিযুক্ত সোলায়মান পুলিশের হাতে আটক হয়ে হত্যার বিবরণ দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে উঠে আসে, আসামি সোলায়মান ঘর ভাড়া নেওয়া কথা বলে নূরজাহানের বাসায় প্রবেশ করেছিল। স্বর্ণালংকার লুট করতে সোলায়মান নূরজাহান বেগমের গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা। গৃহকর্মী পপি ঘটনা দেখে ফেলায় তাকেও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছিলো সোলায়মান। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর আদালত সোলায়মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
আলোচিত এই মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত সোলায়মানের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেয়।
এফএম/এসএস