হঠাৎ বদলি চট্টগ্রাম আদালতের সেই পেশকার, দুদকের ডিডির সমন গায়েব নিয়ে তদন্ত কমিটি

পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া সাবেক দুদক উপ পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহকে ফাঁসানোতে মিথ্যা মামলার সমন লুকিয়ে রাখা আাদালতের সেই বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে বদলি করা হয়েছে। প্রশাসনিক তদন্ত চলাকালের এই বদলিকে নিয়মিত বদলি বলেও জানানো হয়।

রোববার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের নির্দেশে এই বদলি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুরাদ হোসাইন। তিনি বলেন, গতকাল রোববার সিএমএম-৬ এর বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে সিএমএম-৪ এ বদলি করা হয়েছে। তবে এটি নিয়মিত বদলি।

প্রশাসনিক তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হারুনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত চলছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহকে প্রধান করে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে প্রশাসনিক তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে সিএমপির চান্দঁগাও থানা হেফাজতে দুদকের উপ পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর পর সমন ইস্যু বিষয়ে নেজারত শাখা থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়।

নেজারত শাখা ওই মামলার সমনটি চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নেজারত শাখায় পাঠায়নি বলে প্রতিবেদন দিয়েছে।

ওই আদালতে গত ৩০ আগস্ট স্মারক নং-৪৮৭৬ মূলে সমন লিখা হলেও নেজারত শাখায় ঐ সমন আর যায়নি। ওটা বেঞ্চ সহকারী নিজেই আটকে রাখে এবং গোপন করে ওয়ারেন্ট করায়। আর ওই ওয়ারেন্ট ওই দিনই পাঠিয়ে দেওয়া হয় থানায়।

জানা যায়, সমনটি লেখা হলেও তা গোপনে রেখে দেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এটি মামলার আসামিদের হাতে যাতে না পৌঁছায় সেজন্য কৌশলে নিজের ড্রয়ারে রেখে দিয়ে নেজারত শাখায় আর পাঠাননি।

পরে জামিনযোগ্য ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় সমনকে কৌশলে গোপন করে মামলার ধার্য তারিখে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারিদের সঙ্গে এই ওয়ারেন্ট বাণিজ্যে কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একটি সংস্থাও।

আরএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!