সেফটিক ট্যাংকে নেমে বাবাসহ ২ ছেলের মৃত্যু

বুধবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টা। বাড়ির সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে যান দুই ভাই। প্রথমে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর প্রবেশ করেন বড় ভাই। ট্যাংকের ভেতর প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করেত নামেন ছোট ভাই। তিনি একই সময় অজ্ঞান হয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ দু’জনের সাড়াশব্দ না পেয়ে তাদের বাবা ঘর থেকে বের হয়ে দেখতে যান সেফটিক ট্যাংকে।

দুই ছেলের কোনো সাড়া না পেয়ে তিনিও নেমে পড়েন ট্যাংকিতে। তিনিও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরিবার লোকজন সেফটিক ট্যাংকে বাবা ও দুই ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজনদের খবর দেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। এই সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে তিনিও মারা যান।

নিহতরা হলেন ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের (৭০) ছেলে শহিদুল ইসলাম (১৯) ও শাহাদাত হোসেন (৪৮)।

বিএমচর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘আনোয়ার হোসেনসহ তার দুই ছেলে বাড়ির সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে যান। একই পরিবারের বাবা ও দুই সহোদরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশাসনে অনুমতি নিয়ে বিকালে জানাজা শেষে তাদের দাফন করার কথা রয়েছে।’

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে বাবা ও দুই ছেলে মারা গেছে। পরিবারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাদের দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!