সেনাবাহিনী-জেএসএস সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধ, বান্দরবানে সেনাকর্মকর্তাসহ নিহত ৪

বান্দরবান জেলার রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রধারীদের বন্দুকযুদ্ধে এক সেনা কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। নিহত ৪ জনের মধ্যে একজন সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান। বাকি তিনজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তারা জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মূল দলের সদস্য বলে জানা গেছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের রুমা জোনের আওতাধীন রাইংক্ষ্যং এলাকায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ফিরোজ নামের এক সেনাসদস্য আহতও হয়েছেন।

এ সময় একটি সাবমেশিনগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়। আহত সৈনিক ফিরোজকে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সেনাবাহিনীর বান্দরবানের ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও রিজিয়ন সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের একটি দল বথিপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাইংক্ষ্যং লেক ক্যাম্পের জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে গুলি চালায়। এ সময় সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালালে তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়।

এ সময় সাত থেকে আটজন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর আক্রমণে টিকতে না পেরে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। সৈনিক ফিরোজ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। ফিরোজকে বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি সাবমেশিনগান (এসএমজি), ২৭৫টি গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন, তিনটি গাদাবন্দুক, গাদাবন্দুকের পাঁচটি গুলি, চার জোড়া ইউনিফর্ম ও চাঁদাবাজির ৫২ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী স্থানীয় লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মূল দলের সদস্য। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শর্ত থাকলেও জেএসএস সেই শর্ত ভঙ্গ করে চুক্তি পরবর্তী সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লালন করছে। অথচ জেএসএসের প্রধান সন্তু লারমা সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিচুক্তির শর্ত ভঙ্গ ও চুক্তি বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ করেন। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে চারটি আঞ্চলিক দল হত্যা, গুম, চাঁদাবাজিসহ দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।

তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত জনসংহতি সমিতির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এআর/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!