সীতাকুণ্ডের ডিপোতে বিস্ফোরণ নাশকতা কিনা সন্দেহ তথ্যমন্ত্রীর

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ কোনো নাশকতা কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (৬ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা এখন তদন্তাধীন। আমাদের দেখতে হবে এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা। কারণ পদ্মাসেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর, সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে। সেটির ধারবাহিকতায় দেশবাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য এখানে কোনো নাশকতা হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে যেটি বেরিয়ে আসবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করা তা দেখতে হবে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যাদের রক্তের প্রয়োজন, রক্তের কোনো অভাব হয়নি। যে বডি ফ্লুইড দরকার, সেটিরও কোনো অভাব হয়নি। এত বড় একটা ক্যাজুয়েলিটিতে সেগুলোর অভাব হতে পারতো। সবাই এগিয়ে এসেছে বিধায় এই অভাবটি হয়নি।’

স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব সজ্ঞানে কথা বলেছেন কিনা আমি জানি না। নাকি আধোচেতন অবস্থায় কথা বলেছেন, যেটা বয়সের ভারে হয়ে থাকে, যেটা গায়েশ্বর বাবু বলেন−সেরকম বলেছেন কিনা আমি জানিনা। ইদানিংকালের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, উনার একটু চিকিৎসার দরকার আছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা যদি ভালো না হতো, তাহলে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হতো না।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার পর স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা যুক্ত তারা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, এটি অভাবনীয়। উনি না দেখে মুখস্থ ঠাকুরগাঁওয়ে বসে বক্তব্য দিয়ে দিলেন। কই, তাদেরতো কোনো নেতা ছুটে আসেননি। তাদের নেতাকর্মীদের তো দেখা যায়নি এখানে। সবতো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন।’

এ সময় কিছু গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো গণমাধ্যমে ও টেলিভিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে ‘একজন আওয়ামী লীগ নেতার (মুজিবুর রহমান) ডিপো’। মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ নেতা, আমি খোঁজ নিয়ে দেখলাম এই ডিপোর মাত্র ৫ শতাংশ মালিকানা উনার। ৯৫ শতাংশ বাদ দিয়ে, ৫ শতাংশের যিনি মালিক তাকে পুরো মালিক বানানো অপসাংবাদিকতা ছাড়া কিছু না। যেসব সাংবাদিক এই কাজটি করেছেন তাদের এসব থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!