সার কারখানায় ছড়িয়ে পড়া গ্যাস নিয়ন্ত্রণে! শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হওয়া অনেক রোগী ছেড়েছে হাসপাতাল

রাজীব সেন প্রিন্স

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সার কারখানায় ছড়িয়ে পড়া গ্যাস এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। গ্যাসের তীব্রতায় শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অনেকেই ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছে এবং বাকিদের অবস্থাও উন্নতির দিকে বলে জানা গেছে।

fff1bf75600a83786576e3548a29f7de-57bb4b475bf08

 

 

ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের ১১টি গাড়ি ঘটনাস্থলে দীর্ঘসময় কাজ করে বর্তমানে কারখানার পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন।

 

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম শহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের আটটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যান। এছাড়া স্থানীয়সহ মোট ১১ টি গাড়ির সাহায্যে সেখানে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি ছিটানোর পর কারখানার পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

image

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য আব্দুল হালিম বলেন, দুর্ঘটনার পর অ্যামোনিয়া গ্যাসের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে পড়া অন্তত ৫০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে নয়জন ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছে। অন্যান্যদের অবস্থাও উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

সোমবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল) সংলগ্ন ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানায় অ্যামোনিয়াম ফসফেটের বার্নাল (আধার) বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনার পর অ্যামোনিয়া গ্যাসের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে পড়া অন্তত ৫২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

ফায়ার সার্ভিম কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানাটি ড্যাপ-১ কারখানা নামেও পরিচিত। দুর্ঘটনার পর অ্যামোনিয়া গ্যাস নদীর পশ্চিম পাড়ে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর ও হালিশহর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাতে এ দুর্ঘটনার পর শহরের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

 

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!