রাজীব সেন প্রিন্স ::;
চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গার ১৫ নম্বর ঘাট এলাকার উল্টো দিকে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব পাড়ে ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের কারখানার দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা জানায়। প্রায় একই সময় বিসিআইসি চেয়ারম্যান ও ডিএপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।
এর আগে সোমবার রাত একটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ ব্যক্তিদের দেখতে যান তিনি। জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের সাথে হাসপাতালে অসুস্থ রোগীদের দেখতে যান সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাস ছড়িয়ে পড়লেও আতঙ্কের কিছু নেই। যেসব এলাকায় গ্যাস ছড়িয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের মাস্ক না পরা এবং আগুন না জ্বালানোর পরামর্শ দেন তিনি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বলেন, লোকজনকে আতঙ্কিত না হতে মাইকিং করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তাঁকে বলেছেন, পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তদন্ত কমিটি
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুর রশিদকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন আনোয়ারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গৌতম বাড়ৈ ও কর্ণফুলী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। কমিটি গ্যাস লিকেজের কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি কমিটি ডিএপি প্ল্যান্টের কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল) সংলগ্ন ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানায় অ্যামোনিয়াম ফসফেটের বার্নাল (আধার) বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনার পর অ্যামোনিয়া গ্যাসের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে পড়া অন্তত ৫২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিম কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানাটি ড্যাপ-১ কারখানা নামেও পরিচিত। দুর্ঘটনার পর অ্যামোনিয়া গ্যাস নদীর পশ্চিম পাড়ে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর ও হালিশহর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাতে এ দুর্ঘটনার পর শহরের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::