সাতকানিয়ায় ভোটের টাকা বিলানোর সময় ধরা মোতালেবের ‘লোক’

ধামাচাপা দিতে ঘুষের প্রস্তাবও ছিল

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের পক্ষে টাকা বিতরণের সময় নগদ পাঁচ লাখ টাকাসহ একজনকে আটক করেছে প্রশাসন। যদিও ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেব বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বিতরণের জন্য কাউকে টাকা দেননি বলে দাবি করেন তিনি।

তবে আটক হওয়া মাঈনুল ইসলাম চৌধুরী (৪৮) স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণ করেছেন বলে প্রশাসনের কাছে স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে সাতকানিয়ার চিববাড়ি এমএ মোতালেব কলেজ এলাকা থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকাসহ আটক হন মাঈনুল।

দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সাতকানিয়া উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিকী অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করেন।

জানা গেছে, মাঈনুল চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘বনফুলে’ কর্মরত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ভূমি কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিকী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় মাঈনুলের কাছ থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা পাওয়া যায়। টাকাগুলো নিয়ে তিনি এলোমেলো কথা বলছিলেন। পরে ঈগল প্রতীককের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণের কথা স্বীকার করেন তিনি।’

তবে ‘ঈগল মার্কার প্রার্থী এমএ মোতালেবের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন’— জানান আরাফাত সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মাঈনুল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে ঘুষ প্রদানের চেষ্টার অভিযোগে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ স্বীকার করায় অভিযুক্ত মঈনুল ইসলাম চৌধুরীকে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর আওতায় সর্বমোট ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। আটককৃত ৫ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে চালানের মাধ্যমে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!