সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চট্টগ্রামে আর্টিকেল নাইনটিনের জাতীয় জোট গঠন

সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামে সুশীল সমাজ, সংবাদকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার অংশগ্রহণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল পেনিনসুলায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন এই সভার আয়োজন করে। জার্নালিস্ট উইথ অ্যানহ্যান্সড সেইফটি এন্ড সিকিউরিটি (জেইএসএস) প্রকল্পের অধীনে এই আ্যাডভোকেসি অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। এতে সিএসও, কমিউনিটিভিত্তিক সংস্থা (সিবিও), মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি (এইচআরডি) এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মিডিয়া হাউজগুলোতে নিরাপত্তার অভাব, হাউজগুলোতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা নীতি বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা, বীমা পলিসি বা চাকরি থেকে সুস্পষ্ট টারমিনেশন নীতি না থাকা, নারী সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের অভাব, মজুরি বোর্ড অনুযায়ী বেতন বাস্তবায়ন না হওয়া, মিডিয়া হাউস থেকে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাব ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় ওঠে আসে।

অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর (চট্টগ্রাম) সভাপতি অধ্যাপক মো. সিকান্দার খান। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক ছাড়াও সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ১৯ জন সাংবাদিক।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আর্টিকেল নাইনটিন-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল। তিনি মিডিয়া হাউজগুলোতে অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক হুমকি মোকাবেলায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়ার জন্য আহবান জানান।

ফারুখ ফয়সল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নওগাঁ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের র‌্যাব কাস্টডিতে মারা যাওয়ার ঘটনা এবং লেখক মুশতাক আহমেদ হেফাজতে মারা যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, মানুষের প্রাণের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই। আমরা আইন পরিবর্তন করতে পারি, কিন্তু এই আইনের কারণে যারা ভুক্তভোগী এবং যারা মারা গেছে তাদের কখনই ফিরিয়ে আনতে পারবো না।’

আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রুমকী ফারহানা প্রজেক্টের কাজ, আইনি বিশ্লেষণ, জরুরি সহায়তাসহ আর্টিকেল নাইনটিনের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় অংশ নেওয়া নারী সাংবাদিকরা তাদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।

সাংবাদিক এবং প্রতিনিধিরা ইনস্যুরেন্স পলিসি নিশ্চিত, ফ্যাক্ট চেকিংয়ের গুরুত্ব এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে একত্রে কাজ করার আহবান জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আইন সহায়তা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মহানগর নিউজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহনেওয়াজ রিটন, চট্টগ্রাম প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার রহমান মিজান, দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস, সাপ্তাহিক উপকূল প্রতিদিনের সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস, দ্যা ডেইলি বাংলাদেশ সমাচারের মাসুদ আলম, যমুনা টিভির রাশেদ অভি, দৈনিক পূর্বকোণের মরিয়ম জাহান মুন্নী, ডেইলী যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, ডেইলী বণিক বার্তার সিনিয়র রিপোর্টার সুজিত সাহা, ডেইলি অবজারভারের শাহেনূর আক্তার, দীপ্ত টিভির লতিফা আনসারী, চট্টগ্রাম প্রতিদিনের ইসমত মর্জিদা খান, নিউজ ২৪ এর ব্যুরো ইনচার্জ গোলামুন্নবী, ডেইলি স্টারের ব্যুরো প্রধান শিমুল নজরুল, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের মিন্টু চৌধুরী প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!