সরকারি প্রকল্পের টাকা মেরে কারাগারে ফটিকছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান

সরকারি কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জানে আলমকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া এ আদেশ দেন।

জানে আলম ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ফটিকছড়ির কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আজিজুল হক, একই ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সুজিত কুমার নাথ, ক্যাশিয়ার আবুল কাশেম ও তৎকালীন ট্যাগ অফিসার প্রণবেশ মহাজন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের ১ম ও ২য় পর্যায়ের মোট ৮০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের দৈনিক ২০০ টাকা মজুরির ভিত্তিতে ৪১ জন শ্রমিকের ৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মসাৎ করা হয়। যাদের শ্রমিক হিসেবে দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয় তারা কেউই শ্রমিক নন। তারা সবাই স্বাবলম্বী। তাদের মধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পুলিশ সদস্য, গ্রাম পুলিশ, প্রবাসী, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরও নাম ছিল। তারা কখনো কৃষি ব্যাংকে যাননি। এমনকি তারা কখনও কৃষি ব্যাংকে হিসাব খোলেননি এবং টাকাও উত্তোলন করেননি।

এরপর ২০২০ সালে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন তদন্ত করে ৪১ জন শ্রমিকের অর্থ আত্মসাতের দালিলিক প্রমাণ পাওয়ায় চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে দুদক কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেন।

মামলা দায়েরের পর চেয়ারম্যান জানে আলম হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের সময় শেষ হওয়ায় জজ কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি দায়ের করেন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!