সংবর্ধিত হলেন লেখক সরোজ আহমেদ

নানা প্রতিকূলতা ও শত ব্যস্ততার মাঝেও যেন প্রীতির বন্ধন অটুট থাকে সমমনা ১৬ বন্ধু মিলে গঠন করেন ‘ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন। বন্ধুর সাফল্যে যেমন জয়ধ্বনি দেন তারা, দু:সময়েও পাশে দাঁড়ান সাহসী ভূমিকায়। এই সংগঠেনেরই একজন সাংবাদিক, লেখক, সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সরোজ আহমেদ। ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন পরিবারের এই সদস্যের দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং যারপরনাই খুশি সবাই। তাই জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বন্ধুবর লেখক সরোজ আহমেদকে সংবর্ধনা দিল ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে এ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় প্রত্যেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক বই সংগ্রহ, বই দুটির অংশ বিশেষ পাঠ, আলোচনা সভা ও লেখক বন্ধুকে নিয়ে আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। সব শেষে ডিনারের আয়োজন করা হয়।

বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লেখক ও সাংবাদিক সরোজ আহমেদ বলেন, বাঙালির মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে কোনো দেশের অস্তিত্ব সৃষ্টি হতো না। ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনার মধ্য দিয়ে আজন্ম মাতৃভাষাপ্রেমী মহান নেতা বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের ধারাবাহিক সংগ্রামে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন। অবর্ণনীয় ত্যাগ ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলে ১৮ বার জেলে গেছেন, মোট সাড়ে ১১ বছর কারাবন্দি ছিলেন। তবু স্বাধীনতার প্রশ্নে অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেননি। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও তাঁর দৃপ্ত উচ্চারণ : ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা’।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশেই নয়, শোষিত-নির্যাতিত বিশ্বমানব সমাজেরও অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। এই মহান নেতাকে জানতে হলে পড়তে হবে। বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে তাঁর অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে।

ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন পরিবারের সদস্য গোপাল পালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আবুল বশর, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. কুতুব উদ্দিন, মো. নুরুল আবছার, ইকরাম হোসেন, মো. ইউসুফ প্রমুখ।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!