কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, কখনো রোদ আবার কখনো প্রবল ঠাণ্ডায় জবু থুবু নগরী। এই শীতে কখনো মিলছে সূর্যের দেখা আবার কখনো সূর্যের দেখা না পেয়ে উনুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে নগরবাসী। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই সময়ের পূবালী ও পশ্চিমা বাতাসের বিচিত্র সংমিশ্রণ বৈচিত্র্য এনে দিয়েছে এবাবের শীতে।
তবে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মিলেনি চট্টগ্রাম নগরীতে। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়-বুধবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যকে বাড়ি পাঠিয়ে সন্ধ্যা আরো বাড়বে শীতের প্রকোপ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামসহ সারাদেশে হতে পারে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির পর আরো কয়েক দফা কমতে পারে তাপমাত্রা। এতে চলতি সপ্তাহের শেষে এবং আগামী সপ্তাহের বেশ কয়েক দিন আরো বাড়বে শীতের প্রকোপ।
সহকারি আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চগ্যা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান- পূবালী ও পশ্চিমা বাতাসের সংমিশ্রণে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। আগামীতে আরো বাড়তে পারে শীত।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে ছন্দ হারিয়েছে নাগরিক জীবন। ব্যস্ত নগরীর পথ-ঘাটে নেমে এসেছে নীরবতা। শীতের হাত থেকে বাঁচতে জরুরি কাজ ছাড়া ঘর ছেড়ে বের হচ্ছে না লোকজন। এমন পরিস্তিতিতে রেয়াজুদ্দিন বাজার, চকবাজার সহ নগরী কাঁচাবাজার গুলোতে অন্যান্য দিনের মত জমে উঠেনি বেচাকেনা।
স্কুল শুরু-ছুটির সময়ে নগরীর সড়কগুলোতে চোখে পড়েনি তেমন ব্যস্ততা। তবে এমন শীতের প্রকোপে চরম দুর্দশা নেমে আসে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন, কদমতলী, বহদ্দারহাট সহ নগরীজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গৃহহীন পথের বাসিন্দাদের। নগরীর ফুটপাতে দেখা মেলে জুবুথুবু হয়ে ছেঁড়া কাথা গায়ে মুড়িয়ে ঘুমাতে। রেলস্টেশন এলাকায় দেখা মেলে একসাথে বসে আগুন জ্বালিয়ে শীত কাটানোর চেষ্টায় পথশিশুরা।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রের বৃষ্টির তথ্য সত্যি হলে শীতের হাত থেকে বাঁচার এই পথটুকুও হারাবে এসব গৃহহীন পথের বাসিন্দারা।
এদিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- ঘন কুয়াশায়ও চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা স্বাভাবিক রয়েছে।
এএ/এসএইচ