ভ্যাট দিলে উল্টো উপহারও পাবেন— এমন কথা কি কখনও এসেছে আপনার মাথায়? কল্পনা কি কখনও করেছেন— ৫ টাকা ভ্যাট দিয়ে ফেরত পাচ্ছেন এক লাখ টাকা? হ্যাঁ, ভ্যাট দিলে সরকার এখন থেকে আপনাকে উপহারও দেবে নগদ মূল্যে। কেনাকাটা করে মাত্র ৫ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে পেতে পারেন সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকাও।
ক্রেতাকে ভ্যাট চালান নিতে আগ্রহী ও ভ্যাট প্রদানে উৎসাহ দিতে লটারি চালু করা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগে। ক্রেতা ইএফডি ও এসডিসি থেকে যে চালান নেবেন তাই লটারির কুপন হিসেবে গণ্য করা হবে। এ কুপন নিয়ে প্রতিমাসে লটারির আয়োজন করবে এনবিআর। প্রতিমাসের ১ তারিখ থেকে মাসের শেষদিন পর্যন্ত ইস্যুকৃত চালানের উপর পরবর্তী মাসের ৫ তারিখে এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
আপাতত এই সুবিধা পাচ্ছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের ক্রেতারা। ঢাকা ও চট্টগ্রামের এক হাজার ৫১টি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসানো হয়েছে ইএফডি ও এসডিসি মেশিন। ইএফডি-এসডিসি প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাওয়া যাবে এনবিআরের ওয়েবসাইটে। এসব দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে যেকোন পণ্য কেনার পর ইএফডি (ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস) বা এসডিসি (সেলস ডাটা কনট্রোলার) মেশিন থেকে চালান বুঝে নিতে হবে ক্রেতাকে। এই চালানটিই লটারির কুপন হিসেবে গণ্য করা হবে।
প্রথমবারের মতো ১ জানুয়ারি থেকে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্যু করা কুপনের ওপর আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে। ক্রেতাদের ইএফডি ও এসডিসি হতে ইস্যুকৃত চালান যত্নসহকারে সংরক্ষণ করার জন্য এনবিআর অনুরোধ করেছে।
রোববার (১০ জানুয়ারি) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লটারিতে চার ক্যাটাগরিতে ১০১টি পুরস্কার প্রদান করা হবে। যাতে মোট ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার একটি— এক লাখ টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কার একটি— ৫০ হাজার টাকা। তৃতীয় পুরস্কার ৫টি— প্রতিটি ২৫ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। চতুর্থ পুরস্কার ৯৪টি— প্রতিটি ১০ হাজার টাকা করে মোট ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
চেকের মাধ্যমে পুরস্কারের এই অর্থ প্রদান করা হবে। এতে ভ্যাট বা অগ্রিম আয়কর কর্তন করা হবে না। লটারির ড্র এনবিআরে অনুষ্ঠিত হবে। তবে লটারিতে যারা পুরস্কার পাবেন, তারা যেকোন ভ্যাট কমিশনারেট থেকে পুরস্কারের চেক নিতে পারবেন।
সিপি