রাঙ্গুনিয়ায় শ্মশান—পাহাড় কেটে চলছে প্লট বিক্রি!

রাঙ্গুনিয়ার দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শ্মশানের জায়গাসহ প্রায় আড়াই একরের পাহাড় ও টিলা কেটে প্লট বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। তবে এসব জায়গা কৌশলেই ইতিমধ্যে বিএস খতিয়ানভুক্ত করেছে জানা গেছে।

অভিযুক্তরা হলেন- রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য জাহিদুর রহমান ও ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ও পারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইফসুফ।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের কাছে পাহাড় কাটার একটি ভিডিও এসেছে। সেখানে স্কেভেটর দিয়ে দিন-দুপুরে নির্বিচারে পাহাড় ও টিলা কেটে ফেলা হচ্ছে।

সূত্র বলছে, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পারুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড হযরত নিজাম উদ্দিন শাহ (র.) মাজারের পাশে গন্ডাঠিলা নামক স্থানে হিন্দু ধর্মালম্বীদের শ্মশান রয়েছে। সেখানে প্রায় আড়াই একরের জায়গার অধিকাংশই সরকারি খাস জায়গা। স্বাধীনতার পূর্ব থেকে সেখানে শ্মশানটির অবস্থান ছিল।

জানা গেছে, সম্প্রতি মাস্টার অঞ্জন কুমার দে গং এর কাছ থেকে দুই ধাপে প্রায় ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে জায়গাটি ক্রয় করেন পারুয়া ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান ও পারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইফসুফ । ক্রয় করা ওই জায়গার কিছু অংশ ব্যক্তি মালিকানার হলেও অধিকাংশ জায়গা সরকারি খাস পাহাড়। ওই জায়গাটি বিএস খতিয়ানভূক্ত করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

আরও জানা যায়, গত দুই দিন ধরে রাতে অন্ধকারে স্কেভেটর দিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে সেখানকার পাহাড় ও টিলার অংশ। শুধু তাই নয়, পাহাড় কাটার মাটিগুলো রাতেই অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ৫ নম্বর পারুয়া ইউনিয়নের সাবে চেয়ারম্যানকে মো. ইউসুফকে ফোন করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বলেন, আমি এর কিছু জানি না। আমার নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ পাহাড় কাটছে হয়তো।

পরিবেশ অধিদপ্তরে চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনি ঠিকানা দেন সেখানে কালই অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!