মুজিব বর্ষের নামে চাঁদাবাজি, ২ দিনের রিমান্ড দুই চাঁদাবাজের

মুজিব বর্ষের নাম দিয়ে যুবলীগের ব্যানারে নির্বিচারে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক হওয়া তিন চাঁদাবাজের দুই জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত শেখ রিয়াজ আহম্মেদ প্রকাশ রাজু ও শাহজাহানের রিমান্ড আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবকের দুইজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, যুবলীগের বিতর্কিত নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারি দাবি করে বিভিন্ন জনের কাছে চাঁদা দাবি করলে তাদের একজন কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পুলিশ তাদের ৬ মার্চ গ্রেপ্তার করেছিল বলে ৭ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ।

গ্রেপ্তার ৩ জন হলেন- কোতোয়ালী থানার নন্দনকানন দুই নম্বর গলি এলাকার বাসিন্দা শেখ রিয়াজ আহম্মেদ প্রকাশ রাজু (৪০), একই থানার হেমসেন লেইনের বাসিন্দা শাহজাহান (৪৫) ও নন্দনকানন তিন নম্বর গলির বাটুল বড়ুয়া প্রকাশ ডানো (৩৮)। এদের মধ্যে বাটুল বড়ুয়া নিজেকে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি বলে জানিয়েছেন পুলিশকে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তার তিন জনই প্রফেশনাল মাদকসেবী। হেলাল আকবর চৌধুরী বেশ কিছুদিন ধরে দেশেও নেই। নেশার টাকা জোগাতে মুজিব বর্ষের নামে একতা যুব সংঘ ও স্বপ্নচূড়া নামের দুটি সংগঠনের ব্যানার ও হেলাল আকবর চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে।

চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ফাঁদ বসালে তারা সেই ফাঁদে ফেঁসে যায়। শুক্রবার রাতে নন্দনকানন এলাকায় ‘থ্রিএ হোম স্কেচ’ নামের প্রতিষ্ঠানের সামনে টাকা নিতে আসলে সেখান থেকে রাজু ও শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আগ্রাবাদ এলাকা থেকে বাটুল বড়ুয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এদের চাঁদার পরিমাণ ছিল সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১৫-২০ হাজার টাকা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই সদস্য লিটন ও চান্দু ওরফে রনিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এফএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!