মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চালকদের পরিবারের পাশে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এলিট

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই ভাইসহ নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মিরসরাই সদর ইউনিয়নের উত্তর গড়িয়াইশ গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের নিহত দুই ভাই সুমন ও শেখ ফরিদের বাড়িতে যান এলিট।

এরপর সেখান থেকে দুর্গাপুর ইউনিয়নের মেহেদী হাসানের বাড়িতেও যান তিনি। এ সময় মিরসরাইয়ের সন্তান যুবলীগ নেতা এলিট নিহতদের পরিবারের পাশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন এবং তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

নিহত সিএনজি চালকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘আমি নিহত দুই ভাই সুমন ও শেখ ফরিদ এবং দূর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মেহেদী হাসানের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তাঁদের বাড়ি গিয়েছি। কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এ সময় সন্তান হারানো মা, স্বামী হারানো স্ত্রী ও পিতা হারানো সন্তানদের আহজারি বিশেষ করে নিহত দুই ভাইয়ের চার শিশু সন্তানের করুণ মুখ আমার হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করেছে। মহাসড়কে যাতে মিরসরাইয়ের আর কারও প্রাণহানি না হয় সেজন্য চালকদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক কিছু পরিচয় থাকলেও সবার আগে আমার বড় পরিচয় আমি মিরসরাইয়ের সন্তান। সেজন্য মিরসরাইয়ের মাটি ও মানুষের প্রতি আমার টান কাজ করে। আমি মিরসরাইয়ের মানুষের যে কোনো দুর্যোগে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় মহাসড়কে নিহত সিএনজি চালকদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আগামীতেও মিরসরাইয়ের বাসিন্দাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকব ইনশাল্লাহ।’

গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মিরসরাই উপজেলার সোনা পাহাড় পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন একটি কাভার্ডভ্যান চট্টগ্রামগামী ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে ট্রাকটি সামনের জোনাকি পরিবহনের বাসে ধাক্কা লাগে। এমন সময় সেখানে দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দাঁড়ানো ছিলেন সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। ঘটনাস্থলে সিএনজি অটোরিকশা চালকসহ মোট পাঁচ ব্যক্তি মারা যান এবং ১০ জনের বেশি লোক আহত হন।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!