ভারতে বসে ‘সাজ্জাদের’ চাঁদা দাবি, বিবিরহাটে প্রবাসীর বাড়িতে বোমা হামলা

চট্টগ্রাম নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী ভারত থেকে এক দুবাই প্রবাসীর কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা চাওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই চট্টগ্রাম নগরীর বিবিরহাট এলাকায় ওই প্রবাসীর বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার বিজয় বসাক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওই প্রবাসীর ভাই পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ করেছেন। আমরা ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করেছি। তাদের আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা চলছে।’

পাঁচলাইশ থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ভোরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকায় কয়েকজন যুবক এসে ওই প্রবাসীর তিন তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। ওই বাড়ির মালিক দুই সহোদর নুরুল আফসার ও নুরুল আক্কাস দীর্ঘদিন দুবাইপ্রবাসী। গেল কয়েক মাস নুরুল আক্কাস দেশে আছেন। চান্দগাঁও হাজীরপুল এলাকায় তাদের পৈত্রিক জমিতে তারা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। সাজ্জাদ আলী নুরুল আবসারকে ফোন করে নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে দুটি ফ্ল্যাট অথবা নগর এককোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এর আগে সাজ্জাদের হয়ে সোমবার বিকেলে নগরীর আরেক আলোচিত সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরের নাম করে একজন দুবাইয়ে নুরুল আফসার জানিয়ে রাখে, ‘ভারত থেকে সাজ্জাদ ভাই ফোন করবে, ফোন রিসিভ করবেন।’ ঢাকাই আকবর কথা বলার পরই সাজ্জাদ আলী পরিচয় দিয়ে ভারতীয় একটি নম্বর থেকে আফসারকে ফোন করে তাদের ভবন থেকে একটি ফ্ল্যাট অথবা এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

নুরুল আক্কাস থানায় আরও অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীরা দুবাইয়ে তার ভাইকে বোমা মারার হুমকি দিয়েছিল এবং তাকেও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছে।

শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী কাউন্সিলর লিয়াকত আলী হত্যাকাণ্ডের পর আলোচনায় আসে। এরপর ২০০০ সালে ১২ জুলাই বহদ্দারহাটের ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে একসাথে হত্যা করে দেশ ছেড়ে পালায়। তার অপর দুই সহযোগী কাতারে মারামারি করে দেশে ফেরার পথে সরোয়ার ঢাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হলেও রহস্যজনকভাবে ম্যাক্সন নিরাপদেই দেশে প্রবেশ করে। বায়েজিদ, পাঁচলাইশ এলাকায় সাজ্জাদ ও তার সহযোগীরা প্রবাসীকে দেশ-বিদেশে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে নগরীর ওই দুই থানায় ডজনের বেশি মামলা রয়েছে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!