ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা মেরে পালিয়েও শেষরক্ষা হলো না ম্যানেজারের

দোকান থেকে ১০ লাখের বেশি টাকা দিয়ে চম্পট দিয়েছিল ম্যানেজার আবু তৈয়ব। মালিকের টাকা মেরে চার দিন ধরে হাওয়া সে। নিরুপায় হয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন দোকান মালিক। ঘটনা চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকার হলেও পুলিশ ওই ম্যানেজার ধরে আনে বাঁশখালী থানা এলাকা থেকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৭ লাখ টাকাও। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) তাকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, কোতোয়ালী থানার মিউনিসিপ্যাল হকার মার্কেটের শাহ আকতিয়া স্টোরের মালিক গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ব্যবসায়ী জিয়াউল হক দোকানের মালামাল কিনতে জন্য গত ২ ডিসেম্বর ঢাকা সদরঘাট যান। মালামাল কিনতে টাকার প্রয়োজন হলে দোকান ম্যানেজারকে কল দিয়ে দোকান থেকে ১ লক্ষ টাকাসহ মার্কেটের ব্যবসায়ী বন্ধুদের কাছ থেকে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা সংগ্রহ করে মোট ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা পাঠাতে বলেন। সাউথ ইস্ট ব্যাংক জুবিলী রোড শাখার মেসার্স শাহ আকতারিয়া স্টোরের একাউন্টে জমা দিতে বলা হয়। টাকা নিয়ে দোকান থেকে বের হয়ে ব্যাংকে আর যায়নি তৈয়ব। এই টাকা মেরে আত্মগোপনে চলে যায় সে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোকান মালিক জিয়াউল হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি দোকানের মালামালের জন্য ২ ডিসেম্বর ঢাকার সদরঘাট যাই। একপর্যায়ে টাকার প্রয়োজন হলে দোকান ম্যানেজারকে ফোন করে দোকান থাকা ১ লাখ টাকাসহ ব্যবসায়ী বন্ধুদের কাছ থেকে বাকি টাকা নিয়ে মোট ১০ লাখ ৩৯ টাকা ৯০০ টাকা নিয়ে সাউথ ইস্ট ব্যাংকে জমা কর‍তে বলি। সে টাকা সংগ্রহ করে দোকান থেকে বের হয়ে ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে পালিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে তার মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। আমি ওই দিনই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে তাকে খুঁজতে শুরু করি। কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে রোববার বাঁশখালী থেকে নগদ ৭ লক্ষ টাকা তাকে আটক করে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা নগদ সাত লাখ টাকাসহ ওই ম্যানেজারকে বাঁশখালী থেকে আটক করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

এএন/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!