বাঘাইছড়িতে সংস্কারপন্থী ২ কর্মীকে হত্যার পেছনে সন্তুর জেএসএস?

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সুধাসিন্ধু খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। গত মঙ্গলবার মধ্য রাতে উপজেলার মারিশ্যা ইউনিয়নের নবছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন রিপেল চাকমা (২৫) ও বর্ষণ চাকমা (২৪)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এরা দুজনই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) কর্মী।

এদিকে গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকা হওয়ায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করতে পারেনি বাঘাইছড়ি থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো আবুল মনজুর জানান, ‘যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেই এলাকাটি খুবই দুর্গম। পুলিশ সকাল থেকেই লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।’

ডাবল মার্ডারের ঘটনায় নিহত দুইজনকে নিজেদের সমর্থক দাবি করে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) বাঘাইছড়ি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জ্ঞান জীবন চাকমা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে ( জেএসএস) দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার মধ্যরাতে রিপেল চাকমা ও বর্ষণ চাকমা বাসায় যাওয়ার পথে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সশস্ত্র গ্রুপের সামনে পড়লে তারা দু’জনকে হত্যা করে। মূলত এরা দু’জন আমাদের দলকে সমর্থন করায় সন্তু লারমার লোকজন তাদের হত্যা করে। তাদের একটাই অপরাধ আমাদের সমর্থন করে।’

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) একাধিক নেতার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট বাঘাইছড়ি পৌর এলাকায় বাবুপাড়ায় দুবৃর্ত্তের গুলিতে সুধাসিন্ধু খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শতসিদ্ধি চাকমা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এনো চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায়ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা)।

এছাড়া এই হত্যাকান্ডের পর বাঘাইছড়ি উপজেলায় কয়েকধাপে আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন দলের সঙ্গে কোন দলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে পারেনি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।

পিআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!