বাকলিয়ায় নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল সেমাই-মুড়ি, সোয়া লাখ টাকা দন্ড

রমজান ও ঈদের চাহিদাকে পুঁজি করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নোংরা পরিবেশে সেমাই ও মুড়ি তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নানা জটিল রোগে ভোগছেন সাধারণ মানুষ।

নোংরা পরিবেশে ঈদের সেমাই তৈরি, শুকানো ও সংরক্ষণের দায়ে অভিযান চালিয়ে নগরের বেশ কয়েকটি কারখানাকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। একই অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও বেশি দামে পণ্য বিক্রির দায়ে মোট ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (১২ মে) অভিযানে অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যারহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান নেতৃত্ব দেন।

অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকায় রফিক ফুড প্রোডাক্টস কারখানায় নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন জায়গায় সেমাই উৎপাদন করছিল। এছাড়া শ্রমিকেরা অপরিচ্ছন্ন ও ময়লা হাতে সেমাই তৈরিতে নোংরা পানি ব্যবহার করছিল। অভিযানে রফিক ফুড প্রোডাক্টস ২০ হাজার, লাকী সেমাই মিলকে ২৫ হাজার, সানোয়ারা সেমাই ফ্যা ক্টরিকে ১০ হাজার, মনসুর সেমাই ফ্যাক্টরিকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উৎপাদিত সেমাই ধ্বংস করা হয়।

এছাড়া বাকলিয়ার তোফাজ্জল হোসেন সওদাগরের মুড়ি ফ্যা ক্টরিকে উৎপাদিত মুড়ি নোংরা মেঝেতে রেখে প্রক্রিয়াজাত করার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে, আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকার আদনান ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদবিহীন ওষুধ রাখার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও জব্দ করা ওষুধ ধ্বংস করা হয়। স্টার ফাখর্মেসিতে বেশি দামে হেক্সিসল, স্যা নিটাইজার বিক্রির চেষ্টা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ইপিজেড থানার নিউমুরিং এলাকার হোসেন স্টোরকে পণ্যের মূল্যিতালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার, ভাই ভাই স্টোরকে একই অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসএমএস ফার্মেসিকে মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ রাখার করায় ২ হাজার টাকা জরিমানাসহ ওষুধগুলো ধ্বংস করা হয়।

সিএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!