বাঁশখালীতে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ না মেনে খোলা ২ হাসপাতাল

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ অমান্য করে দুই বেসরকারি হাসপাতাল আবারও কার্যক্রম চালু করেছে। হাসপাতাল দুটি হচ্ছে জেনারেল হাসপাতাল এবং ন্যাশানাল হাসপাতাল (প্রা.) লিমিটেড।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকালে গিয়ে হাসপাতাল দুটি চালু দেখা যায়। দুটি হাসপাতালই উপজেলা জামায়াতের আমির ও সহকারী আমিরদের পরিচালনাধীন।

জানা গেছে, বাঁশখালীতে জামায়াতে সাবেক ও বর্তমান নেতারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ১৫টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ১৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছেন। ওষুধ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনকে কাবু করতে ওইসব হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডার করা হয়েছে কিছু আইনজীবী, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের।

জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. মইন উদ্দিন বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কথা বলেননি। আর আপনারা সাংবাদিকরা অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে ঢুকে আরও মারাত্মক অন্যায় করেছেন।’

বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহামুদুল হাসান বলেন, ‘আদালতের আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে পুনরায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতে বন্ধ করা হাসপাতাল কিভাবে চালু করেছে, বিষয়টি দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ অমান্য করায় হাসপাতাল দুটির মালিককে ডাকা হয়েছে।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহামুদুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুর রহমান মজুমদার গত ২৯ আগস্ট বাঁশখালী উপজেলা সদর ও চাম্বলে জেনারেল হাসপাতাল, ন্যাশানাল হাসপাতাল (প্রা.) লিমিটেড, মাতৃসদন হাসপাতাল, মামনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিনি ল্যাব, মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ মোট ৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করেন।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!