ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের চট্টগ্রামের বাঁশখালী-আনোয়ারা পরিদর্শন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর প্রাচীন স্থাপনা বখসি হামিদ জামে মসজিদ ও আনোয়ারার জমিদার যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ মেরিন সুহ ও তার স্ত্রী। রোববার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রাচীন এ স্থাপনা দুটি পরিদর্শন করেন তারা।

বাঁশখালীর বখসি হামিদ মসিজদি পরিদর্শনের সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, অলিয়স ফ্রসেস ড. সেলভাস থেরেস, চট্টগ্রাম চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. প্রণব মিত্র চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম, মাদ্রাসা পরিচালক শাহ সুফি হাফেজ মাওলানা আবদুল মজিদ, চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আহমদুর রহমান, ব্যাংকার ছৈয়দুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মসজিদ পরিদর্শনকালে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ মেরিন সুহ বলেন, এটি ঐতিহাসিক একটি দর্শনীয় স্থান। এখানে আসতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। এরকম প্রাচীন স্থাপনাগুলো সংরক্ষণ করা দরকার। এগুলো দেশের ঐতিহ্যের সাক্ষী।

উল্লেখ্য, ৯৭৫ হিজরি (১৫৬৮) সালে বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে একটি দীঘিরপাড়ে প্রাচীন স্থাপনা বখসি হামিদ জামে মসজিদটি নির্মিত হয়।

মসজিদের ফলক সূত্রে জানা যায়, মসজিদটি সুলতান সম্রাট সোলাইমানের আমলে নির্মিত হয়। এ মসজিদটির নির্মাণ কৌশলের সাথে প্রাচীন স্থাপনা ঢাকার শায়েস্তা খান মসজিদ এবং নারায়ণগঞ্জের বিবি মরিয়ম মসজিদের মিল রয়েছে।

একই দিনে আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়ায় অবস্থিত যোগেশ চন্দ্র রায় মেমোরিয়াল ট্রাস্ট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজও পরিদর্শন করেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি জমিদার যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি ঘুরে দেখেন এবং ছবি তুলেন। পরিদর্শনের সময় তাঁদের সাথে ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ ও আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি হুমায়ুন কবির।

আনোয়ারার ইউএনও শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, রোববার বিকেলে তাঁরা আনোয়ারা আসেন এবং জমিদার বাড়ি ও কলেজ পরিদর্শন করেন।

কেএস/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!