প্রেমিকাকে ৩ বন্ধু মিলে ধর্ষণ, ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি

প্রেমিকসহ তিনজন মিলে গণধর্ষণ করেছে এক স্কুল ছাত্রীকে। পরে ধর্ষণের ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের কাছে চাঁদাও দাবি করে তারা। তবে এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় প্রেমিক এবাদুল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১১ অক্টোবর) কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড়মহেশখালী ইউনিয়নের দেবেঙ্গা পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঘটনায় জড়িত বাকি দুজন হলো- গুলগুলিয়া পাড়ার মো. আলীর পুত্র খায়রুল আমিন ও একই এলাকার আলী আহামদের পুত্র নূরুল হাকিম।

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দেবেঙ্গা পাড়ার ওই স্কুল ছাত্রীর একই এলাকা গুলগুলিয়া পাড়ার মো. আলী প্রকাশ নবাব মিস্ত্রির পুত্র এবাদুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত রোববার (১১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে প্রেমিক এবাদুল্লাহ ফোন করে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে আনে। এর পর প্রেমিক ও তার দুই বন্ধু জোর করে ওই স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এরফান উল্লাহ বলেন, ঘটনার পরে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের বিষয়টি জানিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে অভিযুক্তরা। চাঁদা না দিলে ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা। বিষয়টি আমি জানার পর তাদেরকে আটকের জন্য প্ল্যান করি।

তিনি বলেন, তিনজনকে চাঁদা নিতে সোমবার (১২ অক্টোবর) রাতে স্থানীয় বিলে আসতে বলা হয়। প্রেমিক এবাদুল্লাহ, খায়রুল আমিন এবং জাহাঙ্গীর নামের আরও একজন উপস্থিত হয়। ধর্ষণে জড়িত নূরুল হাকিম আসেনি। ধানক্ষেতে ওৎপেতে থাকা স্থানীয় লোকজন এবাদুল্লাহ ও খায়রুল আমিনকে ধরে ফেলে। কিন্তু স্থানীয় আশরাফুল ইসলাম রাসেল প্রভাব কাটিয়ে খায়রুল আমিনকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে পুলিশ এবাদুল্লাহকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল হাই সাংবাদিকদের জানান, এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। গ্রেফতার প্রেমিক এবাদুল্লাহ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে মহেশখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!