প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ‘মেকানিকের হাতে যেন ‘জাদুর কাঠি’, দু’যুগে হাজার কোটি টাকার সম্পদ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন মোহাম্মদ সেলিম।

প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ দাবি করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, সংবাদের ভেতরে আয়কর তথ্য বিবরণী সরকারি নথি, আপনি কিভাবে সংগ্রহ করেছেন, তা জানা নেই। সরকারি গোপনীয় নথি সংগ্রহ বা প্রকাশ বেআইনি ।

প্রতিবাদলিপিতে সেলিম বলেন, তার বিরুদ্ধে যে কোনো ব্যক্তি দুদক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা যে কোনো ফোরামে অভিযোগ দিতে পারেন, অভিযোগ দিলে তো দোষী সাব্যস্ত হয় না। তিনি একজন দেশের প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমি কস্মিনকালেও টিউবওয়েল মেকানিক ও মাদক ব্যবসার সাথেও কখনও জড়িত ছিলাম না। বাস্তবে আমার বিরুদ্ধে মাদকের কোনো মামলার অস্তিত্ব নেই। তথ্য-উপাত্তবিহীন এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন সম্পূর্ণ বে-আইনি, মানহানিকর এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধও বটে।’

প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতি বছর জেলার সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে সরকার কর্তৃক সনদ ও সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হই। কাজেই কর ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করার বিষয় মোটেই সত্য নয়।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য
চট্টগ্রাম প্রতিদিনে মো. সেলিমকে নিয়ে করা প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দুদকের অভিযোগের সূত্র ধরেই। প্রতিবেদনের কোনো অংশেই প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। দুদকের দেওয়া অভিযোগের বিষয়াদির সঙ্গে সেলিমের আয়কর বিবরণীর অসামঞ্জস্যতার বিষয়ে যা ওঠে এসেছে, সেটাই চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত ছাড়াও অভিযোগের সপক্ষের যাবতীয় কাগজ চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে।

পুরো প্রতিবেদনেই স্বাধীন সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করে অভিযোগের সঠিক তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। এটি কাউকে হেয় করার জন্য না।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে তথ্য-উপাত্তের বিষয়ে জানতে মো. সেলিমকে একাধিক ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপরও বক্তব্যের জন্য সেলিমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!