পাহাড়তলীতে কব্জির জোর দেখাল ওয়াসিম ও মাহমুদের সমর্থকরা

১০ আহতের ঘটনায় ছোঁড়া হল ফাঁকা গুলিও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ঝাউতলা নালাপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন প্রচারণা চালাতে গেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।

এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৬ জন নারী ও দুইজন শিশুও রয়েছে। এ সময় জুয়েল নামে মাহমুদুর রহমানের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে খুলশী থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্র বলছে, এ সময় ওয়াসিম উদ্দিনের দুজন কর্মীকেও আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে শুধু জুয়েলকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই সংঘর্ষের জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছেন ওয়াসিম উদ্দিন ও মাহমুদুর রহমানের সমর্থকরা।

মাহমুদুর রহমানের সমর্থকরা দাবি করেছেন, প্রচারণা চালাতে এসে মাহমুদুর রহমানের কার্যালয়ে মানুষ দেখেই উস্কানিমূলক আচরণ করে হামলা শুরু করে ওয়াসিম উদ্দিনের সমর্থকরা। এ সময় ওয়াসিম উদ্দিনও ঘটনাস্থলে ছিলেন।

তবে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ওয়াসিম উদ্দিনের সাথে থাকা একজন ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমরা প্রচারণা চালানোর সময় অতর্কিতে পেছন থেকে বৃষ্টির মত পাথর ছোঁড়ে মাহমুদুর রহমানের লোকজন। শুনেছি জুয়েল নামে তাদের একজনকে পুলিশ অ্যারেস্ট করেছে। যার বিরুদ্ধে আগের মামলা ছিল। এর পেছনে আমরা জড়িত আছি— এমন কথা প্রচার করেই এই হামলা করানো হয়েছে।

মাহমুদুর রহমানের সমর্থকরা বলছেন, জুয়েলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই এবং জুয়েলকে গ্রেপ্তার করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটেনি। বরং সংঘর্ষের পর পুলিশ এসে ওয়াসিম উদ্দিনকে সামনে এগিয়ে দেয় এবং জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে।

মাহমুদুর রহমানের কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় ওয়াসিম উদ্দিনকে দায়ী করা হলেও ঘটনার সময়ে ওয়াসিম উদ্দিনের দেওয়া একটা বক্তব্যের ভিডিওতে ওয়াসিম উদ্দিনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার ওপর যদি হামলাও হয় কেউ মুভমেন্ট করার দরকার নাই। ওটা আমি বুঝবো। আমার সাথে মুরব্বিরা আছে, মুরব্বির বাইরে কেউ…. আমাকে যদি মারে যা কিছু করবে পরে দেখা যাবে। সবার প্রতি এটা একটা নির্দেশ থাকলো কেউ মুভমেন্ট করার দরকার নাই।’

এই সংঘর্ষের সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়। ওয়াসিম উদ্দিনের সমর্থকরাই গুলিবর্ষণ করেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে এটি অস্বীকার করছেন ওয়াসিম উদ্দিনের সমর্থকরা।

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে খুলশী থানায় যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা নালাপাড়া থেকে জুয়েল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানাতে পেরেছেন। এর বাইরে কোনো কিছুই তার ‘জানা নেই’ বলে জানিয়ে দেন।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!