পটিয়ায় ৫ খামারি পেল ছাগলের ঘর

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালন উৎসাহিত করতে ৫ খামারিকে ছাগলের ঘর ও ভিটামিনসহ অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এসব দেওয়া হয়।

সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী খামারিতে হাতে ব্যতিক্রমী ও উৎসাহমূলক প্রকল্পের ঘরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ বলেন, ছাগল পালন একটি লাভজনক পেশা। যা গরিবের গাভী বলেও পরিচিত। স্বল্প আয়ের মানুষ কিংবা অল্প বিনিয়োগে সক্ষম ব্যক্তিরা অল্প জায়গায় খুব সহজেই ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল আমাদের দেশের নিজস্ব জাত। এই জাতের ছাগলের মাংস সুস্বাদু এবং চামড়া উন্নতমানের হওয়ায় দেশে বিদেশে সমানভাবে কদর রয়েছে। ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল কষ্ট সহিষ্ণু, দ্রুত বর্ধনশীল এবং বছরে দুইবার বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে এই ছাগল দুই বা ততোধিক বাচ্চা দেয় এবং দ্রুত বাজারজাত করণের উপযোগী হয় বলে এই জাতের ছাগল পালন লাভজনক।

হুইপ আরও বলেন, এতদিন অসহায় ও ভূমিহীন মানুষ পেয়েছেন থাকার ঘর। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় পটিয়াতে মানুষের পাশাপাশি ছাগলও পেল থাকার ঘর।

এসময় তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে গবাদি পশুর টিকাদান কর্মসূচি এবং প্রাণী স্বাস্থ্যসেবা কার্ড বিতরণের পাইলট কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন।

ঘরসহ সরঞ্জাম পাওয়া পাঁচ খামারি হলেন উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের মো. মহিউদ্দিন, দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়ার এমরান চৌধুরী, বড়লিয়া ইউনিয়নের মেলঘর এলাকার হালিমা বেগম, পৌরসভার কল্যাণ দাশ ও জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের নাইখানের মঙ্গল সর্দার।

এ সময় পটিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জপু চক্রবর্তী, আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ ছৈয়দ, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এমএনএ নাছির, পটিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রণব দাশ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল খুরশেদ গণি, যুবলীগ নেতা এনাম মজুমদার, উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন সুব্রত সরকার উপস্থিত ছিলেন।

এসএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!