করোনা প্রার্দুভাব এড়াতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পটিয়া উপজেলার বিদেশ ফেরতদের খোঁজে মাঠে উপজেলা প্রশাসন। বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশনের তালিকা ধরে বিদেশ ফেরত দেড় শতাধিক ব্যক্তির তালিকা পেলেও অর্ধশতাধিক লোকের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
এতে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত পটিয়ায় হোম কোয়ারান্টাইনে আছেন ৯১ জন, তাদের মধ্যে কোয়ারান্টাইন শেষ করে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন। কোয়ারান্টাইনে রয়েছে আরো ৭০ জন।
তবে গত কয়েক দিনে শতাধিকেরও বিদেশ ফেরতকে হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রশাসনন। বাকিদের খোঁজে কাজ করছেন তারা।
এদিকে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকেই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাছান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিদেশ ফেরতদের খোঁজে মাঠে নেমেছে।
এসময় তারা হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা লোকজনের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং জনসাধারণকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সতর্ক করছেন।
এসময় ইনামুল হাছান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, আমাদের জানামতে এখন পর্যন্ত কোন বিদেশ ফেরত যাত্রী পলাতক নেই। যারা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে পটিয়ার ঠিকানা দিয়ে প্রবেশ করেছে তাদের মধ্যে যাদের পাওয়া গেছে তাদের প্রত্যেককে খুঁজে হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিদেশ ফেরতদের মধ্যে শতাধিকেরও বেশি প্রবাসীকে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ নেওয়া হয়েছে। তবে বিদেশ ফেরত তালিকাভুক্ত আরো অনেককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের খুঁজে মাঠে কাজ চলছে। জনসমাগম না করতে মাইকিং করে সচেতনতা করা হচ্ছে। এতে সাড়া দিয়ে অনেকে মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রেখেছে। তবে ফার্মেসিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা. মো. জাবেদ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে একটি তালিকা নিয়ে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। গত কয়েকদিনে শতাধিক বিদেশ ফেরতকে হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে অনেক বিদেশ ফেরতদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসএইচ