নাইক্ষ্যংছড়িতে কুঠিরশিল্প গড়ে উঠার সম্ভাবনা

নাইক্ষ্যংছড়িতে কুঠিরশিল্প গড়ে উঠার সম্ভাবনা 1মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি : পার্বত্য রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ির মত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ফার্নিচারের ব্যবসা মন্দ নয়। পার্বত্য এলাকা হওয়ায় এখানকার কাঠের মান ভাল, এ কথা যেমন সারা দেশে রয়েছে, তেমন হাজার হাজার ঘনফুট কাঠের হাতের তৈরী বাহারী ডিজাইনের ফার্নিচার যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার লাভবান হচ্ছে কিছু অসাধু বন বিভাগের কর্মচারী। তাই এই সব কথা মাথায় রেখে সরকারের সু-দৃষ্টিতে নাইক্ষ্যংছড়িতেই গড়ে উঠতে পাড়ে ফার্নিচারের উপর কুঠির শিল্প, তাতে লাভবান হবে উভয়। একদিকে সরকার পাবে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব। অপরদিকে কর্মসংস্থান হবে হাজারও যুবকের। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরসহ ৫টি ইউনিয়ন গুরে দেখা যায় ছোট বড় মিলিয়ে অর্ধশতাদিক ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানে ৪ থেকে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছে। এতে দেখা যায় অনুমানিক ৫০০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের দৈনিক কাঠের চাহিদা রয়েছে ৫০০ ঘনফুট কাঠ। হিসাব করে দেখা যায় প্রতি মাসে প্রায় ১৫ হাজার ঘনফুট বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ ব্যবহার হচ্ছে। যাহা থেকে আসতে পারে সর্ব নি¤œ ৩০ লক্ষ টাকা রাজস্ব। কিন্তু তার কোন হিসাব নাই সরকারী খাতায়। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশিদ এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান সারা দেশে ফার্নিচার ব্যবসায়ীদের জন্য লাইন্সেস এর প্রচলন থাকলেও পার্বত্য জেলা গুলোতে তা নেই। শুধু অনেক দোকানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইন্সেস রয়েছে। এসব বৈধ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পার্বত্য জেলা গুলোতে কেন লাইন্সেস এর ব্যবস্থা নেই এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান তার সঠিক জানা নাই। তবে এসব বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে সরকারী রাজস্ব বাড়ানো যায়, সেই উদ্দেগের কথাও জানান তিনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!