দেশের দামি ১০ ফুটবলারের দুজনই চট্টগ্রাম আবাহনীর, আরও দুজন সদ্য সাবেক

ট্রান্সফার মার্কেটের চোখে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি ১০ ফুটবলারের দুজনই চট্টগ্রাম আবাহনীর— যাদের বাজারমূল্য ১ কোটি টাকার ওপরে। এর বাইরে চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে আবাহনী লিমিটেডে গিয়েই আরেকজনের দাম উঠেছে কোটি টাকার বেশি। এছাড়া চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে শেখ জামালে গিয়েও আরেক ফুটবলার নিজের দাম নিয়ে গেছেন কোটি টাকার একেবারে কাছে।

যদিও অনেকেই ভেবে থাকেন বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি ফুটবলারের নামটি জামাল ভূঁইয়া। বাস্তবে কিন্তু ট্রান্সফার মার্কেটের চোখে সবচেয়ে দামি তিন ফুটবলারের মধ্যেই নেই এই ডিফেন্ডারের নাম।

বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি ফুটবলার কারা, দেখে নেওয়া যাক একনজরে—

মনির আলম

চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে খেলা ২১ বছর বয়সী মনির এবারের মৌসুমে পারফরম্যান্স দিয়ে নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে নিয়েছেন। তার বর্তমান বাজারমূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

জালাল মিয়া

চট্টগ্রাম আবাহনীর ২৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের পারিশ্রমিক ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ নাঈম

চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে এ বছর শেখ জামালে এসেছেন নাঈম। এ বছর পারফরম্যান্স দিয়ে নিজের মূল্য দ্বিগুণ করে নিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী এই গোলকিপার। তার বর্তমান বাজারমূল্য ৯৭ লাখ টাকা।

রাকিব হোসেন

চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে আবাহনী লিমিটেডে যোগ দেওয়া দ্রুতগতির উইঙ্গার এবার নিজের মূল্য বাড়িয়ে নিয়েছেন। তার মূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

আনিসুর রহমান

২৪ বছর বয়সী গোলকিপার দুই মৌসুম ধরে খেলছেন বসুন্ধরা কিংসে। ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত ফর্ম তাকে জাতীয় দলের গোলপোস্টেও জায়গা করে দিয়েছে। ট্রান্সফার মার্কেটের চোখে আনিসুর শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি গোলকিপারই নন, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে দামি ফুটবলারও। গত এক বছরে তার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

রাসেল মাহমুদ

রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি থেকে সম্প্রতি শেখ রাসেলে এসেছেন এই গোলকিপার। ২৭ বছর বয়সী এই গোলকিপারের মূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

শহীদুল আলম

আবাহনীর গোলপোস্টের পরিচিত মুখ শহীদুল। এই গোলকিপারের পারিশ্রমিক মার্চে বেড়েছিল। কিন্তু বছর শেষ করেছেন ২০২০ সালের মূল্যেই। তার বর্তমান বাজারমূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

আশরাফুল ইসলাম

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হয়ে খেলা জাতীয় দলের এই গোলকিপারের বাজারমূল্য ৯৭ লাখ টাকা।

ইয়াসিন আরাফাত

১৮ বছর বয়সী লেফটব্যাককে দলে টেনেছে বসুন্ধরা কিংস। ট্রান্সফার মার্কেটের চোখে দারুণ ফর্মে থাকা এই ডিফেন্ডারের বর্তমান বাজারমূল্য ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

তপু বর্মণ

বাংলাদেশের সেরা ডিফেন্ডার বলে বিবেচিত ২৭ বছর বয়সী এই সেন্টারব্যাক। ট্রান্সফার মার্কেটের হিসাবে বসুন্ধরা কিংসের এই তারকা ফুটবলারের বাজার মূল্য ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

রহমত মিয়া

২২ বছর বয়সী ফুলব্যাক এ বছরই যোগ দিয়েছেন শেখ রাসেলে। তার বর্তমান বাজারমূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

জামাল ভূঁইয়া

বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ক্লাব ফুটবলে খেলেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডে। তার বর্তমান বাজারমূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

সোহেল রানা

নতুন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া এই মিডফিল্ডার আবাহনী ছেড়ে বসুন্ধরা কিংসে যোগ দিয়েছেন। তার বর্তমান বাজারমূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ ইব্রাহিম

বসুন্ধরা কিংসের গতিশীল এই মিডফিল্ডারের দাম মৌসুমের মাঝপথে কিছুটা কমে গিয়েছিল। শেষভাগে আবার নিজের পুরনো মূল্যে ফিরেছেন ইব্রাহিম। তার বাজারমূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

জমির উদ্দিন

বাংলাদেশ পুলিশের হয়ে খেলে আলো কেড়েছেন এই মিডফিল্ডার। এর ফল হিসেবে চলতি মৌসুমেই তাকে দলে ভিড়িয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। এক মৌসুমেই নিজের মূল্যও বাড়িয়ে নিয়েছেন। তার বাজারমূল্য এখন ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস

শেখ রাসেলের হয়ে খেলা হেমন্ত বছর শুরু করেছিলেন যে মূল্যে, বছর শেষও করেছেন তার দ্বিগুণ মূল্যে। তার বর্তমান বাজারমূল্য ৯৭ লাখ টাকা।

সুমন রেজা

উত্তর বারিধারার হয়ে ১০টি গোল করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন সুমন। এখন তিনি বসুন্ধরার খেলোয়াড়। সম্প্রতি তিনি নিজের মূল্য বাড়িয়েও নিয়েছেন। তার মূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

মারাজ হোসেন

আচমকাই লাইমলাইটে চলে এসেছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই স্ট্রাইকার। তার মূল্য ৯৭ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ

২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগে ৫ গোল করেছেন। বাংলাদেশের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের অবস্থা বিবেচনায় যা দুর্দান্ত। ট্রান্সফার মার্কেটে ২৫ হাজার ইউরো মূল্য বেড়েছে শেখ রাসেলের এই ফুটবলারের। তার মূল্য ৯৭ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ

বয়সভিত্তিক দলে আলো ছড়ানো এই উইঙ্গার গত দেড় বছরে পেশাদার ফুটবলেও দারুণ করছেন। সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই ফুটবলার এবার নিজের দাম বাড়িয়ে নিয়েছেন। তার মূল্য ৯৭ লাখ টাকা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!