দেখার ছলে চকবাজারে শিশু অপহরণে নিঃসন্তান এক নারী

৭ বছর পর সন্তান এসেছিল কামরুন নাহার ও আনোয়ার হোসেন দম্পতির ঘরে। নবজাতকের নাম রাখা হয় মুনতাসির। বাসার পাশে থাকতো ফরিদা আক্তার নিহা নামের এক নারী। পরে নিহা বাসা পরিবর্তন করে অন্য এলাকায় চলে যান। মুনতাসিরকে দেখতে আসার ছল করে বাসা থেকে নিয়ে যায় নেহা নামের ওই নারী। অপহরণের ৪ ঘণ্টার মাথায় অপহরণ হওয়া শিশুকে উদ্ধার করে নেহাকে গ্রেপ্তার করেছে চকবাজার থানা পুলিশ।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাটের খাজা রোড এলাকা থেকে ৪ মাস বয়সী মুনতাসিরকে উদ্ধার করে বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া নারী ফরিদা আক্তার নিহার (২২) বাড়ি ভোলা জেলার গনেশপুর কান্দিট লাল মোহন থানা এলাকায়। তার বর্ত্মান বাসা চান্দগাঁও থানাধীন খালাসী পুকুর পাড়, সিকদার বাড়ি এলাকায়।

দেখার ছলে চকবাজারে শিশু অপহরণে নিঃসন্তান এক নারী 1
গ্রেপ্তার ফরিদা আক্তার নিহার

থানা সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন এবং কামরুন নাহার পুতুলের কোলজুড়ে দীর্ঘ ৭ বছর পর শিশু মোনতাছির আসে। তাদের বাসার পাশেই থাকত নিহা। সে সুবাদে তাদের মধ্যে একটা পারিবারিক সম্পর্কও গড়ে উঠে। গত ৮/৯ মাস আগে ফরিদা অন্য এলাকায় চলে যায়। রোববার নিহা শিশু মোনতাসিরকে দেখতে আসে। বাচ্চার মা তার জন্য নাস্তা তৈরি করতে রান্নাঘরে গেলে বিছানায় শোয়া শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। অপহরণের পর শিশুটিকে সে নিজের ছোট ভাই শাহীন (১৫) এর কাছে দিয়ে দেয় নিহা। অন্যদিকে চা নিয়ে কিছুক্ষণ পর শিশুটির মা এসে দেখে বাচ্চাও নেই নিহাও নেই। এরপর ওই দম্পতি চকবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

এ বিষয়ে চকবাজার থানার ওসি রুহুল আমীন বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরপরই শিশু অপহরণকারী নিহাকে ধরতে তার বাসায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। রাতেই চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোডের খালাসী পুকুরপাড় এলাকার শাহজাহান কলোনির জনৈক বাবুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিম শিশুকে উদ্ধার করি ও অপহরণকারী নারীকে আটক করি। নেহার ভাই শাহীন পলাতক আছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আরএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!