দুদকের চিঠি/ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের বিদেশ যেতে মানা

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খানের বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে বিমানবন্দরের বহির্গমন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১০ জুন) ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপারকে এ চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে আরও একবার, ২০১৭ সালের ২৮ জুন মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী নাছরিন খানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

সোমবার দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, এম মোরশেদ খান সপরিবারে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ যাওয়া ঠেকানো দরকার।

টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে এবি ব্যাংকের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৮ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার বনানী থানায় মোরশেদ খানসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করে। অন্য আসামিরা এবি ব্যাংক ও টেলি কোম্পানিটির সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।

মামলার তথ্য অনুসারে, মোরশেদ খান এবি ব্যাংকের পরিচালক থাকাকালে তার কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ওই ব্যাংককে গ্যারান্টার (জামিনদার) করে আটটি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মোট ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সময়মতো পরিশোধ না
করায় তা সুদে-আসলে ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার টাকা দাঁড়ায়। ঋণদাতা আট প্রতিষ্ঠানকে সমুদয় টাকা পরিশোধ করে এবি ব্যাংক মহাখালী শাখা।

দুদকের ভাষ্য, এভাবে এবি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করে আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা লঙ্ঘন করেছেন।

উল্লেখ্য, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি এবি ব্যাংকের এম ওয়াহিদুল হক, আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও ব্যবসায়ী সাইফুল হককে গ্রেপ্তার করে দুদক। এর মধ্যে সাইফুল হক মোরশেদ খানের জামাতা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!