সন্দ্বীপ-গুপ্তছড়া নৌরুটে হঠাৎ ভাড়া বাড়িয়ে দিল ঘাট ইজারাদার

পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ বাড়লো চট্টগ্রামের কুমিরা থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছাড়া নৌরুটে স্পিডবোট ও ট্রলারের ভাড়া। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) নৌরুটের ভাড়া ২৫০ টাকা নেয়া হলেও মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) তা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়। এ নিয়ে যাত্রী ও ঘাট ইজারাদারের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটেছে।

ঘাট ইজারাদাররা জানান, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ নৌরুটের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবে যাত্রীদের দাবি, ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় সরকারের সিদ্ধান্তের পর প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে। কিন্তু সরকারের কোনো নির্দেশনা ছাড়া এভাবে ভাড়া বাড়াতে পারেন না ইজারাদাররা।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের তথ্যমতে, ২০১০ সালের দিকে কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌরুটের স্পিডবোটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০০ টাকা। পরবর্তী সময়ে সন্দ্বীপের সংসদ সদস্যের আশ্বাসে এ রুটের ভাড়া কয়েক দফা কমিয়ে ৩০০ টাকা করা হয়। পরে স্থানীয়দের আন্দোলনের কারণে ভাড়া ২৫০ টাকা করা হয় গত বছরের মে-জুনে। এমনকি সংসদ সদস্য এ রুটের ভাড়া ২০০ টাকা করা হবে বলে আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিরা ঘাট এলাকায় স্পিডবোটের ভাড়া বাড়ানোর নতুন চার্ট টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ নৌ রুটে স্পিডবোটের ভাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩০০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০০ টাকা করা হলো, আদেশক্রমে ঘাট মালিক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া পণ্যবাহী যেসব ট্রলারে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করত তার ভাড়া ২০ টাকা বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা।

কুমিরা ঘাটের টিকিট বিক্রেতারা জানান, কুমিরা-গুপ্তছড়া রুটে স্পিডবোটে জনপ্রতি ২৫০ টাকা এবং পণ্যবাহী ট্রলারে ১৩০ টাকা ভাড়া নির্ধারিত ছিল। তবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে স্পিডবোটে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা এবং ট্রলারে ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের অনুমোদনের বিষয়ে কিছু জানেন না ভাড়া আদায়কারীরা।

ভাড়া বাড়ানোর প্রসঙ্গ অস্বীকার করে কুমিরার ঘাট ইজারাদার আনোয়ার হোসেন জানান, কুমিরা থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া পর্যন্ত স্পিডবোটের ভাড়া ছিল ৪০০ টাকা। পরে সংসদ সদস্যের নির্দেশে আমরা দুই দফায় কমিয়ে ৩৫০ টাকা ও ৩০০ টাকা নির্ধারণ করি। মূলত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমরা ভাড়া আর কমিয়ে রাখতে পারছি না। ৩০০ টাকা স্পিডবোট ভাড়ার বিষয়টি জেলা পরিষদকে মৌখিকভাবে জানানো আছে।

ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির ইকবাল বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নয়, সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের সাথে এ নিয়ে আলাপ করবো।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম জানান, স্পিড বোটের ভাড়া বৃদ্ধি করার বিষয়ে আমি মঙ্গলবার শুনেছি। ভাড়া বৃদ্ধি করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকতে হবে, আজকে (বুধবার) ইজারাদারের সাথে কথা বলবো।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!