জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের ২ মামলায় গ্রেপ্তার ২৪

চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় দুই থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এতে ১৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দুটি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগকর্মী সাফায়েত রাজু বাদি হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করেন।

অন্যদিকে কোতোয়ালী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) মো.ইমরানুস সাজ্জাদ বাদি হয়ে ৭৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করেন।

দুই মামলার বিপরীতে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। এর মধ্যে ২১ জন আসামি গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এছাড়া চকবাজার থানা গ্রেপ্তার করেছে ১ জনকে।

মামলার বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এ্যান্ড অপারেশান) আ স ম মাহতাব উদ্দিন জানান, জামালখানের ঘটনায় দুই মামলায় রাতভর অভিযান শেষে ২৪ অসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, ডিবি ও বাকলিয়া থানার সহযোগিতায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ৫ জনকে ঘটনার পরে আটক করা হয়।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার জানান, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রের করা মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার দুপুর থেকে নগরীর কাজীর দেউরি মোড়ে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ জমায়েত হতে থাকে বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জমায়েত। সমাবেশে যোগ দিতে মিছিলসহ বাকলিয়া ও চান্দগাঁও এলাকার বিএনপির নেতারা চট্টগ্রাম কলেজের সামনে পৌঁছালে তাদেরকে ধাওয়া দেয় চট্টগ্রাম ও মহসিন কলেজের ছাত্রলীগ নেতারা।

এই সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বিএনপির নেতারা জামালখানের দিকে পালিয়ে যায়। তখনই বিক্ষুদ্ধ বিএনপির সমর্থকরা জামালখানের বঙ্গবন্ধুর ছবি ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ছবি ভাঙচুর করে। মিছিলটি চলে যাওয়ার সময় জামালখান মোড়ের পদ্মাসেতুর রেপ্লিকাটিতেও ভাঙচুর চালায়।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!