বাংলাদেশের দক্ষিণ চট্টগ্রামে আঞ্চলিক উন্নয়ন কিভাবে বাড়ানো যায়, সে কথা মাথায় রেখে জাপান এগোচ্ছে। জাপানের প্রকল্পগুলোর মধ্যে মাতারবাড়ি প্রকল্পকে রাখা হয়েছে – একথা আগেই জানা গেছে। জাপানের এই উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ হওয়ার কথাও ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাপান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারত্বে নিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। জাপান-বাংলাদেশ সমন্বিত সহযোগিতার সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারত্বে নিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকটি হয় ভার্চ্যুয়ালি, যা চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। আলোচনায় জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ উপমন্ত্রী হিরোশি সুজুকি তাঁর দেশের নেতৃত্ব দেন। দুই দেশের প্রথম পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০১৬ সালে ঢাকায় এবং দ্বিতীয় বৈঠক ২০১৮ সালে টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
মাসুদ বিন মোমেন জানান, জাপানের প্রকল্পগুলোর মধ্যে মাতারবাড়ি প্রকল্পকে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে আঞ্চলিক উন্নয়নে কীভাবে বাড়ানো যায়, সেভাবে জাপান এগোচ্ছে। সব মিলিয়ে জাপানের এই উন্নয়নপ্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ অংশ হতে চায়।
এ ছাড়া তাদের আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি উঠেছে। এই সমস্যা সমাধানে প্রত্যাবাসন যে মূল, সেটা বাংলাদেশ তুলে ধরেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাপানের সহায়তা চেয়েছে বলে মাসুদ বিন মোমেন জানান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অনেক অনুষ্ঠান যৌথভাবে উদ্যাপন করা হবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা সফর করবেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাপানের দেশের সম্রাটের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। ২০২২ সাল হবে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত। সম্পর্কটা কৌশলগত যেমন হবে, তেমনি বাণিজ্যে বিনিয়োগ বাড়বে।’
সিপি