চুয়েটের শূন্য ক্যাম্পাস সেজেছে বসন্তের রঙে
ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। কিন্তু ফুল যখন ফুটেই যায়, রঙ বেরঙের ফুলের সমারোহে সৌন্দর্য যখন সত্যিকার অর্থেই বিরাজ করে, সেই বসন্তের আগমনটা হয় আরেকটু ভিন্ন আঙ্গিকে। ক্যাম্পাসের অলিগলিতে ফুলের সমারোহটাই যেন জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে।
হ্যাঁ, বলছিলাম সবুজ পাহাড়ের কোলে অবস্থিত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কথা।
চুয়েট ক্যাম্পাসে এখন নেই শিক্ষার্থী কিংবা নেই কোনো কোলাহল। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনায় ক্যাম্পাস আপাতত শিক্ষার্থীশূন্য থাকলেও বসন্তের অপার সৌন্দর্য্যে সেজেছে চুয়েট। মাঘের শেষে শীতের জীর্ণতা কাটিয়ে যেন নতুন এক রূপে সাজতে শুরু করেছে ১৭১ একরের এই ক্যাম্পাস।
মাঘের শেষে যখন ফাগুন হাওয়া বয়, তখনই প্রকৃতির সবচেয়ে কাছ থেকে চেনা যায় বসন্ত ঋতুকে। গাছে নতুন কচি পাতা আর ফুলের সৌন্দর্যে ঝলমল করছে পরিবেশ। আর সেই ফুলের বাহারি রঙ যেন তাতে যোগ করেছে সৌন্দর্যের নতুন এক মাত্রা।
গোলাপি, নীল, সাদা, হলুদ, খয়েরি, বেগুনি, লালসহ হরেক রঙের ফুলে সেজেছে প্রশাসনিক, একাডেমিক ভবন ও বিভিন্ন হলের প্রাঙ্গন। এসব সৌন্দর্য আর ফুলের সৌরভই যেন জানিয়ে দিচ্ছে বসন্ত আসতে আর দেরি নেই!
চুয়েটের ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহজাবীন সেঁজুতি বললেন, ‘চুয়েটের ফাল্গুন যেন আঁকা ছবির মতো। আমরা চুয়েটিয়ানরা এই সময়টার প্রেমে পড়ি বারবারই। গোলচত্ত্বরের উৎসব,শাড়ি-পাঞ্জাবিতে আমাদের বসন্ত বরণ, বন্ধুবান্ধব নিয়ে আনন্দ, কখনওবা আনন্দ মিছিল, ঘুরতে যাওয়া— এসব নিয়েই ছিল ক্যাম্পাসের বসন্ত। এখন এসব শুধুই স্মৃতি মনে হচ্ছে। এখন শুধুই অপেক্ষা স্বাভাবিক সময়ে ফিরে যাওয়ার।’
পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান ইজাজ বলেন, ‘চুয়েটের ছয় ঋতুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সব সময় আমাদের মোহিত করে রাখে। বসন্তে ক্যাম্পাস যেন আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। এবার এই করোনা মহামারীর কারণে ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীশূন্য থাকায় সেই অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করা গেল না। আশা রাখি অতি শীঘ্রই ফিরে যাবো ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীর কোলাহলে আবারও মুখরিত হবে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাস।’