চমেকে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ১১ ডাক্তারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জাতীয় শোক দিবস পালনের কর্মসূচি ঠিক করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বৈঠকের সময় ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। এতে ১১ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ ছাত্রলীগের ২৬ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ আগস্ট) চমেকের ডেন্টাল বিভাগের শিক্ষার্থী শাওন দত্ত বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সফিউদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় যে ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, চমেক ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি)এম এ আউয়াল রাফি এবং ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তাজওয়ার রহমান অয়ন, ওসমান গণি, ইমতিয়াজ উদ্দিন মানিক, মাসুম বিল্লাহ মাহিন, ফয়সাল আহমেদ, আফিফ আনজুম রিফাত, অতন্দ্র আকাশ, নুর মোহাম্মদ তানজিম ও এএলএনএস শাহরিয়ার।

এছাড়া অভিযুক্তদের তালিকায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছেন চমেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়দানকারী আল আমিন ইসলাম শিমুল এবং ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত শোয়াইব আলী খান, রাহাত জামান, সানি হাসনাইন প্রান্তিক, মাহাদী বিন হাশিম, এমএ কাইয়ূম ইমন, মিনহাজ আরমান লিখন, হাসিবুল ইসলাম, মুঈদ সাকিব, আহমেদ ফয়সল, এসএম জিয়াউদ্দিন, সাহেদ কামাল, এইচআর মাহফুজুর রহমান, আহসানুল করিম মাহরুস ও অনির্বাণ দে।

শাওন দত্তের আইনজীবী শাহরিয়ার তানিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চমেকে সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আজকের মামলার বাদী শাওন দত্ত শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী ও আসামিদের সকলেই সাবেক মেয়র নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি নিয়ে চমেক ছাত্রাবাসের লবিতে একদল শিক্ষার্থী বৈঠক করছিলেন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছাত্রাবাসে তারা নিজ নিজ কক্ষে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। লবিতে আসার পর তাদের ওপর হাবিবুর রহমান ও আল আমিন ইসলাম শিমুলের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন অতর্কিতে হামলা করে। এতে শাওনসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এআরটি/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!