চবিতে মেস ভাড়া নিয়ে সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের তিন দফা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের মেস ও কটেজ ভাড়া সংক্রান্ত সংকট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।

বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সংহতি জানায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চবি সংসদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চবি শাখা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানায়। দাবিগুলো হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসকল শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলতার কারনে করোনাকালীন মেস-কটেজ-বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে অপারগ, তাদের তালিকা তৈরি করে আর্থিক সংকট নিরসনের দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।

মেস, কটেজ ও বাসা ভাড়া সংকট নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।

বন্ধ ক্যাম্পাসে মেস, কটেজসমূহে সাম্প্রতিক চুরির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দেওয়ান তাহমিদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চবি সংসদের সাধারন সম্পাদক আশরাফী নিতু, পিসিপির (জেএসএস) সাংগঠনিক সম্পাদক রুমেন চাকমা, পিসিপির (ইউপিডিএফ) তথ্য ও প্রচার বিষয়ক সম্পাদক রোনাল চাকমা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের চবি শাখার ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন নিলয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাসের দরুন পুরো বিশ্বে একধরনের অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এর প্রভাব পড়েছে যথারীতি শিক্ষার্থীদের উপরও। ‘৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা হলেও এর আবাসন সংকট এখনও হয়নি। এই করোনার সময়ে বাসা, মেস, কটেজ ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীরা। এই সংকট নিরসনের দাবিতে অনেকদিন ধরে আমরা প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়ে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা মানববন্ধনে মিলিত হয়েছি। আশা করি প্রশাসন দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিয়ে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবে।’

এমআইটি/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!