চবিতে দায়িত্বহীনতার পুরস্কার প্রভোস্ট পদে নিয়োগ!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতার দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে পুরস্কার হিসেবে উল্টো প্রভোস্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ ওঠা শিক্ষক লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী এসএম খসরুল আলম কুদ্দুসীকে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে আগামী এক বছরের জন্য স্যার এএফ রহমান হলের প্রভোস্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নূর আহমদ।
বিতর্কিত এ নিয়োগ ইতিমধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) নূর আহমেদ বলেন, ‘উপাচার্য আমাকে যে আদেশ দিয়েছেন, আমি সে অনুযায়ী চিঠি পাঠিয়েছি।’
জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ উঠে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. খসরুল আলম কুদ্দুসীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা সংক্রান্ত ভুল বা অনিয়মের আশ্রয় নিলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া বাধ্যতামূলক।
অথচ অধ্যাপক ড. খসরুল আলম কুদ্দুসী ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ন্যাশনাল কারিকুলামের শিক্ষার্থীদের ৩০ নম্বরের বাংলা প্রশ্নের বদলে ব্রিটিশ কারিকুলামের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত ৩০ নম্বরের ইংরেজি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলেন।
এ পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ১০১, ১০২, ১০৩ নম্বর রুমের পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন কুদ্দুসী। তার এই মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্তের কারণে বিপাকে পড়ে যায় ন্যাশনাল কারিকুলামের ইংরেজি মাধ্যমের ৪১৬ জন শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষকের ভুলের কারণে তাদের গত ৬ নভেম্বর দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। অধ্যাপক কুদ্দুসীর কারণে ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে এক দিনের পরিবর্তে ১০ দিন লেগে যায় ইউনিট কর্তৃপক্ষের।
ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এত বড় অনিয়ম করার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি এ ঘটনায় এখনও তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়নি। উল্টো তাকে বিশ্ববিদ্যালয় স্যার এএফ রহমান হলের প্রভোস্ট পদে নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন।
এইচটি/সিপি