চট্টগ্রাম রেলের ৩৭ ইঞ্জিন বিকল, কক্সবাজার রুটে কমিউটার চালু হচ্ছে না সহসা

রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগে কাটছে না লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংকট। ফলে বাড়তি চাপ পড়ছে সচল ইঞ্জিনগুলোর ওপর। সচল ইঞ্জিনগুলো সাধারণত একবার চলাচলের পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিশ্রামে রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু রুটে ইঞ্জিন বিশ্রাম ছাড়াই ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে বিকল আছে ৩৭টি ইঞ্জিন, এগুলো মেরামতের কাজ চলছে। এরমধ্যে কক্সবাজার রুটে দুটো আন্তঃনগর ট্রেনের পর এবার কমিউটার চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে রেলওয়ে। কিন্তু ইঞ্জিন সংকটে কারণে ঠিক কবে থেকে এই ট্রেন চালু হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে পাহাড়তলীর রেলওয়ে ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানায় গিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগের ট্রেন চলাচলে ইঞ্জিন রয়েছে ৯৭টি। কিন্তু এর মধ্যে বর্তমানে সচল আছে প্রায় ৬০টি। অপর ৩৭টি ইঞ্জিন মেরামতের কাজ চলছে।

পাহাড়তলী ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানার তত্ত্বাবধায়ক এহতেশাম মোহাম্মদ শফিক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগে বর্তমান লোকোমোটিভ সংখ্যা ৯৭টি। তার মধ্যে সচল রয়েছে ৬০টি। আর ৩৭টির মেরামত কাজ চলছে।’

ইঞ্জিন বিশ্রামের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটি ইঞ্জিন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলের পর মিনিমাম ৩-৫ ঘণ্টা বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। যেকোনো ইঞ্জিন রানিং করে এসেই পুনরায় চলাচল করা বিপজ্জনক।’

এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কমিউটার ট্রেন চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে রেল পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সংস্থাপন ও অতিরিক্ত চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট জাকির হোসেন বলেন, ‘নতুন রুটে ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত আপাতত এই মুহূর্তে নেই। যদি ট্রেন চালু করতে হয় তাহলে রেলের আয়বর্ধক কন্টেইনারবাহী ট্রেন বন্ধ করতে হবে। সেই ট্রেনের ইঞ্জিন লাগিয়ে রুটে নতুন ট্রেন চালু করতে হবে।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘রেলের আয়ের সিংহভাগ আসে এই তেল ও ভোগ্যপণ্যবাহী কন্টেইনার ট্রেন থেকে। এই ধরনের একটি ট্রেন থেকে দৈনিক আয় হয় ৫-৬ লাখ টাকা।’

ফেব্রুয়ারি মাসে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হবে কিনা, জানতে চাইলে রেলওয়ের কর্মব্যবস্থাপক (পূর্ব) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপাতত মাস দুয়েকের মধ্যে নতুন করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কোনো কমিউটার বা আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা সম্ভব নয়।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!