চট্টগ্রাম বন্দরে টাগবোটের সঙ্গে যুক্ত হলো ২টি গ্যান্ট্রি ক্রেন

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক দুটি টাগবোট আসার ১৫ দিনের মাথায় বন্দরে যুক্ত হলো আরও দুটি গ্যান্ট্রি ক্রেন। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নতুন প্রযুক্তি এসব ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (৪ জুলাই) গ্যান্ট্রি ক্রেন দুটি চীন থেকে আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। এর আগে গত ১৬ জুন টাগবোট দুটি চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এবার দুটি ক্রেনের সঙ্গে তিনটি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি (আরটিজি) ক্রেনও যুক্ত হয়েছে।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, দুটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি) এবং তিনটি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি (আরটিজি) ক্রেন নিয়ে জাহাজটি জেটিতে ভিড়েছে। আর আগে দুটি টাগবোট নিয়ে আসা হয়েছিল। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজনের করা হচ্ছে।

গত ১৬ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকালে টাগবোট দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়। এ দুটিসহ চট্টগ্রাম বন্দরের টাগবোটের সংখ্যা ১০। আগে সাধারণ মানের ৮টি টাগবোট ছিল বন্দরে।

টাগগুলোতে দুটির শক্তিশালী ৬৩ হাজার পাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন রয়েছে। এতে শক্তিশালী অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রয়েছে। যার মাধ্যমে প্রায় ১২০ মিটার দূর থেকেও পানি এবং ফোমের মাধ্যমে যেকোনো আগুন নেভানো যাবে। এছাড়াও নদীতে তেলদূষণ হলে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ছিটিয়ে দূষণ মোকাবেলা করতে সক্ষম। টাগ দুটিতে আধুনিক রাডার, জিপিএস, ইকো স্পিকার-সাউন্ডবক্স, অটো পাইলট, ইউএমএসও রযেছে।

এছাড়া বেতার ও স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায়, গভীর সমুদ্রে যে কোনো জাহাজকে প্রতিকূল আবহাওয়াতেও সাহায্য করতে সক্ষম। জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী টাগবোট দুটি সমুদ্রে একটানা এক মাস চলতে সক্ষম।

চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজারবেটর ক্যাপ্টেন ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আধুনিক টাগবোট ও গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযোজনের ফলে একদিকে যেমন বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে তেমনি বন্দরের সুনামও অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে।’

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!