চট্টগ্রাম-ঢাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অভিভাবকরা এনবিআরের নিশানায়, রিটার্ন দেননি অনেকেই

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দেননি— এমন বিত্তশালীদের ধরার অংশ হিসেবে এবার চট্টগ্রাম ও ঢাকার নামিদামি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অভিভাবকদের নামের তালিকা সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সংস্থাটির তদন্তে দেখা গেছে, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অনেক অভিভাবক রিটার্নে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। অনেকে আবার রিটার্নই জমা দেননি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, এবার নিয়মিত সময়ে ই-টিআইএন বা ইলেকট্রনিক ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বারধারী অর্ধেকেরও কম ব্যক্তি রিটার্ন জমা দিয়েছেন।

সংস্থাটির তথ্যমতে, বাকি অনেকেরই কর পরিশোধে সক্ষমতা আছে। এরপরও তারা রিটার্ন জমা দেননি। এমন পরিস্থিতিতে এনবিআর এবার সেই লোকগুলোকে খুঁজতে মাঠে নামছে।

জানা গেছে, প্রথম ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন নামিদামি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অভিভাবকদের নামের তালিকা সংগ্রহ করবে এনবিআর। সেই অভিভাবকরা কে কী করেন, কোথায় থাকেন— এমন সব তথ্যই সংগ্রহ করা হবে স্কুল থেকে। এরপর খোঁজ নেওয়া হবে তারা রিটার্ন দাখিল করেছেন কিনা।

চট্টগ্রামে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে— চিটাগং গ্রামার স্কুল, ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ, সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, লিটল জুয়েলস স্কুল, মাস্টারমাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, উইলিয়াম কেরি একাডেমি, ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সানশাইন গ্রামার স্কুল, আমেরিকান স্কুল, আল হিদায়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলসহ আরও বেশকিছু স্কুল।

এনবিআর দাবি করছে, তাদের তদন্তে দেখা গেছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অভিভাবকদের অনেকে রিটার্নে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। কেউ ব্যবসায় লোকসানের অজুহাত দেখিয়েছেন। কেউ বা আবার ব্যবসা করলেও রিটার্ন জমা দেননি।

তবে এনবিআরের নিশানায় শুধু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অভিভাবকরাই নয়, বিলাসবহুল গাড়ির মালিক, বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরাও রয়েছেন। তারা রিটার্ন জমা দিয়েছেন কিনা— সেটাও যাচাই করে দেখা হবে।

এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৮২ লাখ ইটিআইএনধারী ব্যক্তির মধ্যে এবার নিয়মিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দিয়েছেন মাত্র ২৮ লাখ ৫১ হাজার করদাতা।

এর বাইরে আরও ২ লাখ ৫০ হাজার করদাতা রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!