চট্টগ্রামে যুবকের ল্যাপটপে ছাত্রী ও মহিলা অভিভাবকের ৩০০ ভিডিও

ছড়ানো হতো ফেসবুকে

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন গার্লস স্কুলের সামনে থেকে শিক্ষার্থী ও নারী অভিভাবকদের ভিডিও ধারণ করে ভিডিওগুলো বিকৃতভাবে সম্পাদনা করে ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে দিতেন তিনি। এমন অভিযোগে মো. গোলাম মোক্তাদির (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গোলাম মোক্তাদির পেশায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। তিনি গাইবান্দা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার সাপমারা এলাকা আবদুল মান্নান মণ্ডলের ছেলে।

শুক্রবার (৩ জুলাই) দুপুরে তাকে সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা দক্ষিণ শাখা। বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আসিফ মহিউদ্দীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘বিভিন্ন গার্লস স্কুল ও কলেজ ছাড়াও দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে যাওয়া স্কুল-কলেজের ছাত্রী, মহিলা অভিভাবক ও নারীদের ভিডিও ধারণ করে তা বিকৃতভাবে সম্পাদনা করে ফেসবুকে প্রচার করতো আটক মো. গোলাম মোক্তাদির। আমরা তার ল্যাপটপ ও মোবাইলে তিন শতাধিক ভিডিও ক্লিপ পেয়েছি। এসব ভিডিও সে এই বছর ধারণ করেছে।’

এডিসি আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, গোলাম মোক্তাদির পেশায় একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। গোলাম মোক্তাদিরের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের হচ্ছে।

জানা গেছে, গোলাম মোক্তাদির ২০১৬ সাল থেকে ‘টপ ফান আড্ডা’ নামে একটি ফেসবুক ফ্যান পেইজ পরিচালনা করেন। গত ৬ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই পেইজে মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও নারী অভিভাবকদের ২৭টি ভিডিও পোস্ট করেন মোক্তাদির। গোপনে ধারণ করা ওসব ভিডিওতে স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও তাদের অপেক্ষায় থাকা অভিভাবকদের অসতর্ক মুহূর্তের চিত্র ধারণ করা হয়।

একাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) নগর পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তার দৃষ্টিতে আনার পাশাপাশি সিএমপি কমিশনারকেও অবহিত করেন। কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান জানার সাথে সাথেই নগর গোয়েন্দা পুলিশকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনার মাত্র কয়েক ঘন্টার মাথায় এই ঘটনার মূলহোতা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মোক্তাদির আটক হলেন।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!